রাজধানী ঢাকার ঐতিহ্যবাহী গবেষণাধর্মী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইসলাহি ইজতিমা ও দোয়া মাহফিল।
জানা যায়, আজ বুধবার (১৫ নভেম্বর) শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের কাওলার নামাপাড়াস্থ নির্মাণাধীন স্থায়ী ক্যাম্পাস মিলনায়তনে বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে এই আয়োজন।
আজকের ইসলাহি ইজতেমায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন উপমহাদেশের শ্রেষ্ঠ দ্বীনি বিদ্যাপীঠ ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের সিনিয়র মুহাদ্দিস ও পীর যুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর খলীফা আল্লামা সালমান বিজনুরী। এছাড়া ইসলাহি আলোচনা করবেন হারদুয়ী হজরত রহ. ও পীর যুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর খলিফা আল্লামা মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ।
শাইখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও ও শাইখুল হাদিস মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ আওয়ার ইসলামকে জানান, আল্লামা সালমান বিজনুরীর পাশাপাশি আজকের ইসলাহি ইজতেমায় উপস্থিত থাকবেন আওলাদে রাসুল সাইয়েদ মাহমুদ আসআদ মাদানীর খলিফা মুফতী মোহাম্মদ আলী, ঢাকার জামিয়াতুল মানহাল উত্তরার প্রিন্সিপাল মুফতি কেফায়েতুল্লাহ আজহারী, ইসলামী আলোচক মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ বিভিন্ন ওলামায়ে কেরাম।
এদিকে ইসলাহি ইজতেমা গুরুত্ব তুলে ধরে মুফতি মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, মানবজীবনে ইসলাহ বা আত্মশুদ্ধির গুরুত্ব অপরিসীম। আমাদের দেহে রোগ হলে যেমন ডাক্তার কাছ থেকে ঔষধ সেবন করি, তেমনি অন্তরে রোগ হলে আল্লাহওয়ালাদের কাছ থেকে আত্মার রোগের ঔষধ সেবন করতে হয়। আর এর অন্যতম মাধ্যম হলো ইসলাহি মাহফিল।
তিনি বলেন, ইসলাহের গুরুত্ব অনুধাবন করে শায়খ জাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ইসলাহি মাহফিল হয়ে আসছে। সেই ধারাবাহিকতায় আজকের এই আয়োজন। আমি চাই, দেশের প্রতিটি মাদরাসায় যেন নিয়মিত এসব ইসলাহি মাহফিল হয়। তাহলে মাদরাসার লেখাপড়া, পরিবেশ ও সার্বিক অবস্থা আরো সুন্দর হবে। ছাত্র-শিক্ষকদের দিলে আল্লাহর মহব্বত আরো বেশি পয়দা হবে।
যাতায়াত: ঢাকার যে কোন স্থান থেকে হযরত শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ৩য় টার্মিনালের পূর্ব দিকে কাওলার রেল লাইন পার হয়ে কাওলা নামাপাড়া, ল্যাম্পস আইডিয়াল স্কুলের দক্ষিণ পাশে (দূরত্ব ২ কি.মি.)।
কেএল/