শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫ ।। ৭ চৈত্র ১৪৩১ ।। ২২ রমজান ১৪৪৬


‘আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ’ শিক্ষাবোর্ডের ফলাফল প্রকাশিত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ ক্বওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর ১৪৪৬ হি./২০২৫ইং কেন্দ্রীয় মারকাযী পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) বোর্ডের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ‘আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া’র শিক্ষক মিলনায়তনে ‘ফলাফল প্রকাশ’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ফল প্রকাশিত হয়। এ বছর পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫২৪৬ জন ( পাঁচ হাজার দুইশত ছেচল্লিশ) এবং পাসের হার ছিলো ৯০.৫০%।

ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের নির্বাহি সভাপতি ও জামিয়া পটিয়ার মুহতামিম, মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভী (হাফি.), জামিয়ার শায়খে ছানী আল্লামা মুফতি শামসুদ্দিন জিয়া (হাফি.), আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর মহাসচিব মুফতি একমরাম হোসাইন ওদূদী (হাফি.), আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ এর কো-মহাসচিব আল্লামা আব্দুল জলীল কাওকব (হাফি.), ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাওলানা জাফর সাদেক, জামিয়া ওবাইদিয়া নানুপুরের মুহাদ্দিস মাওলানা আনোয়ারা হোসাইন আযহারী, জামিয়া মাদানিয়া শোলকবহরের শিক্ষা পরিচালক মাওলানা মহিউদ্দিন, আজিজিয়া কাসেমুল উলূম কোদালা মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা বেলালুদ্দিন, জামিয়া কোরআনিয়া ইউনুছিয়া চন্দ্রঘোনা মাদারাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা জসিমুদ্দিন, হোসাইনিয়া আজিজুল উলূম রাজঘাটার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা হামীদুল্লাহ, পটিয়া দারুত তাকওয়া মহিলা মাদরাসার মুহতামিম মুফতি বেলালুদ্দিন প্রমূখ।  

এ বছর আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর অধীনে অনুষ্ঠিত তাজবীদ, দাওরায়ে হাদীস (তাকমীল), উলা-কামেলাইন, চাহারুম, শশুম, হাস্তুম এবং দাহুম/মোতাফাররিকা; মোট সাত স্তরের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল,ছাত্র ৫০৮৯ জন; ছাত্রী ১৫৭ জন; সর্বমোট ৫২৪৬ জন। সারাদেশে ২৯টি ছাত্র মারকায ও ১টি ছাত্রী মারকাযে এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আজ ১৯ রমাযান ১৪৪৬ হিজরী, ২০ মার্চ ২০২৫ ঈসাব্দ, বৃহস্পতিবার আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর পরীক্ষা কমিটি ও নিরীক্ষকবৃন্দের যৌথ সভায় এ পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। 

ফলাফল ঘোষণা করেন আঞ্জুমানে ইত্তেহাদুল মাদারিস বাংলাদেশ-এর নির্বাহি সভাপতি ও জামিয়া পটিয়ার মুহতামিম মুফতি আবু তাহের কাসেমী নদভী। 

তিনি বলেন, পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে ফলাফল প্রকাশ পর্যন্ত বিশাল এ কর্মযজ্ঞ ও ব্যবস্থাপনা একমাত্র আল্লাহ তা‘আলার অসীম মেহেরবানীতে সুচাররূপে সম্পন্ন হয়েছে। এ জন্য আমরা একান্তভাবে আল্লাহ তাআলার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি ‘আলহামদুলিল্লাহ’। 

তিনি জানান, বিশাল কর্মযজ্ঞের বিভিন্ন স্তর–নিবন্ধন,পরীক্ষার্থী অন্তর্ভুক্তি থেকে শুরু করে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন,কাগজপত্র তৈরি ও কেন্দ্রসমূহে প্রেরণ, পরীক্ষা গ্রহণ, বোর্ডের প্রধান কার্যালয় ইত্তিহাদভবনে সম্মিলিত উত্তরপত্র মূল্যায়ন,খাতা নিরীক্ষণ,ফলাফল তৈরি ইত্যাদি কাজে আন্তরিক সহায়তার জন্য মাদরাসাসমূহ, নেগরান, পরীক্ষক, নিরীক্ষক ও অফিসকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

৫২৪৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৪৪০৪ জন,অনুত্তীর্ণ ৬৪৮ জন এবং অনুপস্থিত ছিল ১৯৪ জন। পাশের হার ৯০.৫০%। মুমতায (স্টার) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে,ছাত্র ১৬৪৫ জন। জায়্যিদ জিদ্দান (১ম) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ১৪৮৬ জন। জায়্যিদ (২য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ৯৯৩ জন এবং মাকবূল (৩য়) বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে ২৮০ জন। 

পরীক্ষা বিধি অনুসারে ছাত্র ও ছাত্রীর মেধাক্রম পৃথক করা হয়েছে এবং প্রতি স্তরে কোঠাভিত্তিক মেধাতালিকা প্রণয়ন করা হয়েছে। ছাত্র কোঠা: দাওরায়ে হাদীস (৩)। উলা-কামেলইন (১৫)। চাহারুম (২০)। শশুম (২৫)। হাস্তুম (৩০)। দাহুম/মুতাফাররিকাহ (৩৫)। তাজবীদ হাফস (৩)। তাজবীদ রেওয়াত (৩)।  ছাত্রী কোঠা : উলা (৩)। চাহারুম (৫)। 

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ