আরবি ভাষা শেখার অনন্য প্রতিষ্ঠান মারকাজুল লুগা’ র অধীনে অনুষ্ঠিত ৬ দিনব্যাপী শিক্ষক প্রশিক্ষণ শেষ করে উচ্ছ্বসিত কিতাব বিভাগের মেধাবী শিক্ষকগন। কর্মশালাটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হয়ে আজ (শনিবার, ১ মার্চ) সকাল ১০টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয়।
তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত এ-প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছিলেন দেশের নানা প্রান্ত থেকে আগত ৭৫ জন শিক্ষক মণ্ডলী। যাদের অনেকের শিক্ষকতার বয়স এক যুগেরও বেশি।
সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন জামিয়াতুল উলুমিল ইসলামিয়ার নায়েবে মুহতামিম মাওলানা আব্দুল গফফার সাহেব। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, মাওলানা আব্দুল জব্বার জাহানাবাদী (রহ.) অনুভব করেছিলেন প্রশিক্ষিত শিক্ষকের। শুরুও করেছিলেন। কিন্তু যোগ্য লোক তেমন পাননি। ভালো ছাত্র হলেই ভালো শিক্ষক হওয়া যায় না। যোগ্যতা দক্ষতার সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে যদি আমরা নিজেদেরকে সাজাতে পারি পরিবর্তন আসবে।
সভাপতির বক্তব্যে মারকাজের পরিচালক শায়েখ মহিউদ্দিন আল ফারুকী বলেন, চাকচিক্যময় কর্পোরেট জগতের লোভনীয় অফার আমার সামনে ছিল, কিন্তু আমি যাইনি সেদিকে। চেয়েছি দীনের একান্ত খেদমত করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে। যে পরিবেশ এবং প্রতিষ্ঠান আমাকে এতকিছু দিয়েছে তার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে। এজন্য মারকাজের নিয়মিত বিভাগ আরবি ভাষা ও সাহিত্য পাঠদানের পাশাপাশি বিরতির সময় গুলোতে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র শিক্ষকদের কথা বিবেচনা করে নানা প্রশিক্ষণের আয়োজন করে থাকি।
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী মাওলানা ফয়জুল্লাহ মনসুর অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, প্রশিক্ষণ একজন শিক্ষককে প্রকৃত শিক্ষকে পরিণত করে। শিক্ষকতার ছয় বছর পরে এসে আজ উপলব্ধি করছি যে, এতদিন আমি ছাত্রদের হক নষ্ট করেছি।
মাওলানা আল মামুন বলেন, এ প্রশিক্ষণ থেকে বুঝতে পারছি আদর্শ শিক্ষক যিনি হবেন তিনি ছাত্রের অবস্থা অনুযায়ী নিজেই সিলেবাস প্রণয়ন করে পড়াবেন।
অধিকাংশ প্রশিক্ষনার্থীর অভিব্যক্তি হল, এমন প্রশিক্ষণের আয়োজন আরো বেশি এবং আরো বড় পরিসরে করা উচিত। যেখানে নানা প্রয়োজন অপ্রয়োজনের খাতে অঢেল অর্থ ব্যয় হচ্ছে সেখানে জাতির ভবিষ্যৎ গড়বার সারথী শিক্ষকদের যোগ্য করে তুলবার তেমন কোন যুগান্তকারী পদক্ষেপই দেখা যাচ্ছে না। দায়িত্বশীল জায়গা থেকে বৃহৎ পরিসরে এমন হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এমএইচ/