বাংলাদেশ বর্তমানে নানা সামাজিক ও প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। এর মধ্যে ধর্ষণ একটি ভয়াবহ সংকটে পরিণত হয়েছে, যা সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং প্রশাসনিক দুর্বলতার প্রতিফলন। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় না আনার কারণে সমাজে বিচারহীনতার সংস্কৃতি বিস্তার লাভ করছে, যা অপরাধ প্রবণতা আরও বাড়িয়ে তুলছে।
দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ষড়যন্ত্র চলমান রয়েছে, যার ফলে অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই এ ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ দমনে প্রশাসনকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যদি ধর্ষকদের দ্রুত বিচার নিশ্চিত করে সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়, তাহলে সমাজে শান্তি, নিরাপত্তা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হবে। অপরাধ দমন ও সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আজ ১৭ রমজান, মঙ্গলবার, রাজধানীর ঢাকা মেট্রো লাউঞ্জে কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী ও সাধারণ সম্পাদক কাউসার আহমাদ -এর সঞ্চালনায় ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের উদ্যোগে ‘মাহে রমজানের তাৎপর্য ও গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সমাজের নৈতিক অবক্ষয় রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী বলেন, রমজান মাস সংযমের মাস। এই মাসে মানুষ ইবাদত বেশি করে এবং অসঙ্গতিপূর্ণ কার্যক্রম থেকে বিরত থাকাকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। তাই এই মাসের শিক্ষা নিয়ে আমাদের কে পথ চললে দুনিয়া ও আখেরাতে সফলকাম হওয়া যাবে।
বিশেষ আলোচকের বক্তব্যে মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া বলেন, কিছুদিন পূর্বে জাতিসংঘের মহাসচিব সাহেব বাংলাদেশে এসেছিলেন এবং সকল রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় করেছেন। কিন্তু ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলোকে সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। দেশের সকল সংকটাপন্ন পরিস্থিতিতে ইসলামী রাজনৈতিক দলগুলো অবদান রেখেছে। কিন্তু রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দলগুলোকে মাইনাস করা চরম হতাশা জনক। এতে রাষ্ট্রের কল্যাণে কোন সুফল বয়ে আনবে না।
উক্ত আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস কাসেমী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান মাযহারী, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জয়নুল আবেদীন, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা শারফুদ্দিন ইয়াহইয়া, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাহবুবুল আলম, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মুফতি মকবুল হোসাইন কাসেমী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা নূর মোহাম্মদ কাসেমী, মানিকগঞ্জ জেলা জমিয়তের সভাপতি মুফতি শামসুল আরেফিন খান সাদী, জমিয়ত নেতা মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, মাওলানা আনোয়ার ঢাকুবী, মাওলানা ফখরুদ্দিন হোসাইনী, মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকী, মাওলানা বোরহানউদ্দিন, মাওলানা মোহাম্মদ আলী, মাওলানা মঈনুদ্দিন মানিক, মাওলানা ফাইয়াজ আব্দুল্লাহ সাবেক সহ সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমান আহমদ সহ যুব জমিয়ত ও ছাত্র জমিয়ত নেতৃবৃন্দ।
বন্ধু প্রতিম ছাত্র সংগঠনের মধ্য হতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সহ-সভাপতি এম এম মুসা, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিসের সভাপতি পরিষদ সদস্য আশরাফুল ইসলাম সাদ, ইসলামী ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক আমির জিহাদী, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক হোসাইন বিন সারোয়ার, ইসলামী ছাত্র ফোরাম বাংলাদেশের আহবায়ক প্যানেল সদস্য সাব্বির আহমেদ, বাংলাদেশ ছাত্র মিশনের সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ মিলন।
নারনা/