নোয়াখালী প্রতিনিধি
বাবা মাওলানা বেলাল উদ্দিন। তার ছেলে নুরুল হুদা (২৩)। জীবন-সংসার সাজাতে গিয়েছিলেন ওমানে। কিন্তু ভাগ্যে তা সয়নি। এক বছর না পেরুতেই সেখানেই ধরা মরণব্যধি ক্যানসার। পরে ওই দেশের চিকিৎসকের পরামর্শে দেশে আসেন মাওলানার এই ছেলে।
এখন টাকার অভাবে চিকিৎসা নিতে না পারায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন পাকস্থলি ক্যানসার আক্রান্ত ওমান প্রবাসী নুরুল হুদা। তার শরীর বর্তমানে অনেকটায় জীর্ণশীর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধারদেনা করে ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে গত ৫ মাস পরিবার চিকিৎসা করালেও টাকার অভাবে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে তাকে। এখন অভাবের সংসারে ব্যয় বহুল এই চিকিৎসা করানো বেকার বাবার ওপর যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা।
নুরুল হুদা নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের নলুয়া গ্রামের মাওলানা বেলাল উদ্দিনের ছেলে। পাঁচ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি পঞ্চম। জীবিকার তাগিদে ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর ওমানের পাড়ি জমান। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই মরণব্যধি ক্যানসারে আক্রান্ত হন এই রেমিটেন্সযোদ্ধা।
বাবা মাওলানা বেলাল উদ্দিন জানান, প্রবাসে কাজ করার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে দ্রুত ওমানের একটি হসপিটালে নেওয়া হয়। তখন চিকিৎসকরা তাকে দেশে পাঠানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা করতে বললে মালিকপক্ষ তাকে দেশে পাঠিয়ে দেন। দেশে আসার পর অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানা যায় নুরুল হুদা মরণব্যধি পাকস্থলি ক্যানসারে আক্রান্ত।
ইতোমধ্যে দেশের কয়েকজন চিকিৎসক জানান, তার অবস্থা দিন দিন খারাপ হচ্ছে। তাকে দীর্ঘদিন উন্নত চিকিৎসায় থাকতে হবে। তবে চিকিৎসা খরচ অনেক বেশি হবে।
বড় ভাই আবদুল্যাহ জানান, টানা ৫ মাস ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে নুরুল হুদার চিকিৎসা নিতে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। যার সবটুকুই মানুষের কাছ থেকে ধার-দেনা করে পরিশোধ করে পরিবার। কিন্তু নিন্ম মধ্যবিত্ত বাবার পক্ষে তার চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাধ্য হয়ে নুরুল হুদাকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়।
বাবা মাওলানা বেলাল উদ্দিন আরও জানান, নুরুল হুদাকে সুস্থ করতে হলে আরও উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। সে বর্তমানে বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। উন্নত চিকিৎসার অভাবে তার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অবনতি হচ্ছে। এমতাবস্থায় ছেলেকে বাঁচাতে তার বাবা বিত্তবানদের সাহায্য প্রার্থনা করছি। উন্নত চিকিৎসা পেলে আবার নতুন জীবনে ফিরবে আমার ছেলে।