মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ ।। ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১ ।। ১১ রমজান ১৪৪৬

শিরোনাম :

রংপুরে সয়াবিন তেলের সংকট, ইচ্ছা মতো দাম নিচ্ছেন দোকানিরা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রংপুর ব্যুরো

রংপুর বিভাগের বিভিন্ন হাট-বাজারে সয়াবিন তেলের সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। গত এক মাস থেকে সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাজ থেকে ইচ্ছে মতো মূল্য আদায় করছে। রবিবার রংপুরের বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

অভিযোগ রয়েছে, ৫ লিটরের বিভিন্ন ব্যান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৮১৮ টাকার পরিবর্তে ক্রেতাদের কাজ থেকে ৮৬০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে। আর খোলা সয়াবিন তেল কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা দরে। গত এক মাস ধরে এ অবস্থা বিরাজ করলেও কেউ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এতে করে ক্রেতাদের কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেশি দরে সয়াবিন তেল ক্রয় করতে হচ্ছে।

জানা যায়, রংপুরের বিভিন্ন নামিদামি কোম্পানির ডিলারদের মধ্যে রূপ চাঁদা সয়াবিন তেলে ভোলা নাথ, পুষ্টি সয়াবিনের খলিল, ফ্রেস তেলের হিরণ বাবু রয়েছেন। তারা মূলত সরবরাহ করে থাকেন সয়াবিন তেল।

রংপুর সিটি বাজারের মুদি দোকানদাররা বলেন, গত এক মাস ধরে কোম্পানিগুলো তাদের চাহিদা মতো তেল সরবরাহ করছে না। ফলে বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া ক্রেতারা এক বোতলের জায়গায় ৫ বোতল নিচ্ছেন, ফলে সংকট আরও বেড়েছে।

সিটি বাজারের নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, যেসব ডিলারের মাধ্যমে কোম্পানিগুলো বাজারে তেল সরবরাহ করে থাকে, মূলত তারাই সংকটের জন্য দায়ী। তারা যখন দেখে বাজারে তেলের চাহিদা বেশি, তখনই তারা বাজারে সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বলে কোম্পানিগুলো ডিলারদের তেল দিচ্ছে না। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তারা নির্ধারিত দামের চেয়ে কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৩০ টাকা দাম বাড়িয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

সিটি বাজার গিয়ে দেখা যায়, অনেক মুদি দোকানে সয়াবিন তেল নেই। কিছু কিছু দোকানে সামান্য পরিমাণ তেল রয়েছে। যেসব দোকানে তেল রয়েছে, সেখানে দামও অনেক বেশি।

মুদি ব্যবসায়ী লোকমান বলেন, ফ্রেস তেলের ডিলারের কাছে ১০ কার্টন তেলের আগাম টাকা দিয়েছি। তিনি আমাকে মাত্র ১ কার্টন তেল সরবরাহ করেছেন। আর জানিয়েছে কোম্পানি তাকে তেল দিচ্ছে না। একই অবস্থা অন্যসব কোম্পানির।

বাজারে সয়াবিন তেল ক্রয় করতে আসা কহিনুর বেগম বলেন, আগে ৫ লিটারের একটি সয়াবিন তেলের বোতল ছিল ৮১৮ টাকা। এখন নিতে হচ্ছে ৮৬০ থেকে ৮৭০ টাকায়।

দাম বেশি নেয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, দোকানদাররা নাকি বেশি দামে কিনেছে, সেজন্য তাদেরকে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

পুষ্টি তেলের ডিলার খলিল বলেন, কোম্পানিগুলো তাদের তেল সরবরাহ করতে না পারায় দোকানদারদের চাহিদা মতো তেল বাজারে সরবরাহ করতে পারছে না। এই কারণে বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে। আর ক্রেতারা চাহিদার চেয়ে বেশি করে কেনায় সংকট আরও বেড়েছে।

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আফসানা পারভীন বলেন, রংপুরে ডিলারদের সঙ্গে আমরা মিটিং করেছি। গত দুই সপ্তাহ থেকে তেলের সংকট রয়েছে।

তিনি বলেন, কোম্পানি ঠিক মতো তেল সরবরাহ করছে না। কোম্পানিগুলো তাদের তেল সরবরাহ করলে দাম কমে আসবে।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ