গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হলো গাইবান্ধার তাবলীগ জামায়াতের আয়োজনে তিন দিনের জেলা ইজতেমা।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টার দিকে এই মোনাজাতে লাখো মুসল্লী অংশ নেয়। মোনাজাত করেন কাকরাইল জামে মসজিদের শূরা মুরব্বি মাওলানা আব্দুল্লাহ শেখ।
মোনাজাতে মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, দেশের শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। প্রায় ২৫ মিনিটের এই মোনাজাতে আকাশপানে হাত তুলে আল্লাহর দরবারে কান্নায় ভেঙে পড়েন অর্ধ লক্ষাধিক মুসল্লি।
প্রথম দিন থেকেই ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন ধর্মভিরু মানুষেরা। তবে শেষ দিনেও ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে দূর-দূরান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের উপস্থিতিতে মুখরিত ছিল ইজতেমা ময়দান। আশপাশের কৃষি জমি, আঞ্চলিক মহাসড়ক, বসতবাড়ি, ছাত্রাবাস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
আখেরি মোনাজাত শেষে ইজতেমা ময়দান ত্যাগকালে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি তাবলীগ জামায়াতের স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
গাইবান্ধা জেলা ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সমন্বয়ক হুমায়ুন কবির জানান, “জেলা ভিত্তিক আঞ্চলিক ইজতেমার অংশ হিসেবে গাইবান্ধায় এ আয়োজন করা হয়েছে। মুসল্লিদের নিরাপত্তা এবং সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে।”
এরআগে গত ৫ ডিসেম্বর ফজরের নামেজের পর পরই তুলশীঘাটের কাশিনাথপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে প্রথম দিনের ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় ।এতে অংশ নেন গাইবান্ধার পার্শ্ববর্তী জেলার মুসল্লীরাসহ শ্রীলংকা ও পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের তাবলীগ জামায়াতের মুরুব্বিরা।
ইজতেমার মাঠে বিশাল শামিয়ানা স্থাপন করে মুসল্লিদের জন্য থাকার ব্যবস্থা করা হয়। অস্থায়ী টয়লেট, অজু ও গোসলের জন্য পর্যাপ্ত পানি সরবরাহের ব্যবস্থাও রাখেন আয়োজকরা। তিন দিনব্যাপী এই ইজতেমায় মুসল্লিদের হৃদয়ে এক অভূতপূর্ব প্রার্থনার আবেশ তৈরি করে। ইসলামের শান্তি ও ন্যায়ের বার্তা ছড়িয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে বলে মনে করেন অংশগ্রহণকারী মুসুল্লিরা।
হাআমা/