গাইবান্ধা প্রতিনিধি
অবশেষে সাবেক পারভীন খাতুনকে ৩ লাখ টাকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন সেই বর শফিকুল ইসলাম। উভয় পক্ষের লোকজন থানায় বসে সমঝোতার পর শুক্রবার রাতেই বিয়ে করেন তিনি। রবিবার সকালে থানা সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।
দ্বিতীয় বিয়ে করা কনে রিমি খাতুন (২৪) জামালপুর ইউনিয়নের চকদাড়িয়া-পাতিল্যাকুড়া গ্রামের রবিউল ইসলামের মেয়ে। ৩ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে স্থানীয় কাজীর মাধ্যমে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।
এর আগে, শফিকুল ইসলাম স্বজনদের নিয়ে মাইক্রোযোগে দ্বিতীয় বিয়ে করতে কনে রিমির বাড়িতে যাওয়ার পথে তাদের ওপর হামলা করেন সাবেক স্ত্রী পারভীনসহ তার স্বজনরা। এতে বর শাফিকুলসহ অন্তত ৩ জন আহত হন। শুক্রবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (ফকিরপাড়া) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ বর শফিকুল ইসলামসহ আহতদের উদ্ধার করে।
উভয় পক্ষের সমঝোতার বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঘটনার পরই হামলার শিকার শফিকুলকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। এরপর রাতেই উভয় পক্ষের লোকজন বসে ঘটনাটি মীমাংসা করেন। পরে শফিকুলকে তার স্বজনদের জিম্মায় দেওয়া হয়। রাতেই তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন বলে জেনেছি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর (মধ্যপাড়া) গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে বিয়ে হয় পারভীন খাতুনের। পারভীন ফকিরপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের মেয়ে। কিন্তু বিয়ের আড়াই বছর সংসার করার পর পারভীনকে তালাক দেন শফিকুল। কিন্তু তালাকের তিন মাস পার হলেও দেনমহরের ৪ লাখ টাকা পরিশোধ করেননি শফিকুল।
প্রথম পক্ষের স্ত্রী পারভীন খাতুনের অভিযোগ, দেনমোহরের টাকা না দিয়ে আমাকে তালাক দেন শফিকুল। দেনমহরের টাকার দাবিতে দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার সময় তাকে আটক করেছি। পরে থানায় বসা হলে আমাকে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছাড়া পান শফিকুল।
তবে বর শফিকুল ইসলামের অভিযোগ, হঠাৎ তাদের গাড়ি থামিয়ে হামলা করে পারভীনসহ তার পরিবারের লোকজন। এসময় তাকেসহ সঙ্গে থাকা ৩/৪ জনকে মারধর করা হয়। পকেট থেকে টাকা ও হাতে থাকা আংটিও খুলে নেয় তারা। পারভীনকে তালাক দেওয়ার পরেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। কিন্তু বিয়ে করতে যাওয়ার সময় তাদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করে তারা।
এ বিষয়ে শফিকুল ইসলামের বাবা জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রথম স্ত্রী পারভীনকে তালাক দেয় আমার ছেলে। কিন্তু দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা করে পারভীনসহ তার স্বজনরা। পরে থানায় বসে ৩ লাখ টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্তে ঘটনাটি সমাধা হয়। এরপর রাতেই ৩ লাখ টাকা দেনমোহর ঠিক করে কনে রিমির সঙ্গে শফিকুলের বিয়ে হয়।