শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

সাইনবোর্ড মাদরাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, নিন্দার ঝড়

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আরাফাত নুর>>

একটি আন্দোলন। যার সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়েছিল সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ। লাখো শিক্ষার্থী-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে গড়ে ওটা এই আন্দোলন ক্রমশ রূপ পাল্টাতে থাকে। সরকারি বিভিন্ন বাহিনীর দমন-পিড়নের শিকার হতে হয়েছে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতাকে। এই আন্দোলনে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, লেখক, কবি, সাহিত্যিক, আইনজীবী, সাংবাদিক, সাইবারকর্মীরা সহ যে যেভাবে পেরেছেন সহায়তা করেছেন।

আন্দোলনকে ঘিরে সর্বস্তরের জনগণের পাশাপাশি দেশের কওমি মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকদের অংশগ্রহণ ছিল ঈর্ষনীয়।

যাদেরকে অভিহিত করা হয়েছে চব্বিশের যোদ্ধা হিসেবে। তেমনি এক যোদ্ধা জামিয়াতু ইবরাহিম সাইনবোর্ড মাদরাসা’র মুহাদ্দিস মুফতি আনিসুর রহমান কাসেমী।

পুরো আন্দোলন সংগ্রামে যিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাত্রাবাড়ী সাইনবোর্ড এলাকার বিভীষিকাময় দিনগুলোতে প্রায় কয়েক হাজার ছাত্রজনতাকে নিয়ে স্লোগান তুলেছেন। প্রতিরোধ গড়েছেন। বিজয় পরবর্তী সময়েও মাদরাসা'র ছাত্রদের নিয়ে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের কাজ ও হিন্দুদের মন্দির পাহারা দিয়েছেন। যার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এখনো রয়েছে।

জানা যায়, গত ২৮ আগষ্ট ২০২৪ইং যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। যার নাম্বর-৩২ (ধারা -৩০২/১০৯/১১৪)। সেখানে মুফতি আনিসুর রহমানকে 'ওলামা লীগ' ট্যাগ দিয়ে ১৮১ নাম্বার আসামি করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চলছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা। ওঠেছে তীব্র নিন্দার ঝড়।

নেটিজেনরা বলছেন, জীবন বাজি রেখে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া এই মহান শিক্ষকের সম্মানহানি করে এখনো এমন মিথ্যা ও ভুয়া মামলা হলে নতুন এ স্বাধীনতার স্বাধীকার রইলো কই!? তারা খুব দ্রুতই এ মামলার নিষ্পত্তি চান।

জানা যায়, মুফতি আনিসুর রহমান হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ (যাত্রাবাড়ী জোন) এবং মাওলানা মামুনুল হকের দল বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস (যাত্রাবাড়ী জোন) এর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ