হোটেলের মালিক, ম্যানেজার ও কর্মচারীরা বিভিন্ন গ্রাম থেকে কাজ দেওয়ার নামে নারীদের নিয়ে আসতেন। এরপর পাচারের উদ্দেশ্যে আটকে রাখা হতো বনলতা আবাসিক হোটেলের গোপন কক্ষে। শুধু তাই নয়, বাধ্য করা হতো পতিতাবৃত্তিতে।
শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে রাজশাহীতে আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে সাত নারীসহ ১৭ জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে শুক্রবার (২৮ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলামের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অভিযানকালে হোটেল মালিক ও ম্যানেজারকেও আটক করা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- হোটেল মালিক মো. মোন্তাজ (৫৮), ম্যানেজার মিজানুর রহমান (৪০), কর্মচারী মো. মঞ্জু (৫৩), ইয়াসিন আলী (৪৩), হোটেলে আসা মো. এসকেন্দার (৬০), মো. সোহাগ (২০), সাকিব হোসেন (২২), বিপ্লব শেখ (২০), রকিবুল ইসলাম (২৩) ও মাহমুদ হাসান (৩২)।
আটক নারীরা হলেন- তোতা বেগম রুপা (৩০), রত্না খাতুন (২৪), নদী আক্তার জোসনা (২৮), রাহিমা খাতুন (৩০), মোসা. সালমা (৩০), মোসা. শিল্পি (৩২) ও মোসা. পারুল (৪৫)।
পুলিশ জানায়, রাজশাহী মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে লক্ষ্মীপুর জিপিওর বিপরীতে বনলতা আবাসিক হোটেলে অসামাজিক কার্যকলাপ পরিচালিত হচ্ছে। পুলিশ পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান, এসআই মো. সাইমন ইসলাম ও তাদের টিম দুপুর ১২টার বনলতা আবাসিক হোটেলে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় ৬ পুরুষ ও ৭ নারীকে আটক করে ডিবি অফিসে আনা হয়। এছাড়া হোটেল মালিক, ম্যানেজার ও কর্মচারীদের আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা পুলিশকে জানান, হোটেলের মালিক, ম্যানেজার এবং কর্মচারীরা বিভিন্ন এলাকা থেকে নারীদের কাজ দেওয়ার কথা বলে ফুঁসলিয়ে রাজশাহীতে নিয়ে আসেন। এরপর তাদের পাচার করার উদ্দেশ্যে বনলতা আবাসিক হোটেলের গোপন কক্ষে আটক রেখে পতিতাবৃত্তি করান।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জামিরুল ইসলাম জানান, হোটেল মালিকসহ আটককৃতদের বিরুদ্ধে রাজপাড়া থানায় মানবপাচার আইনে মামলা হয়েছে। নারীদের আরএমপি অধ্যাদেশে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হাআমা/