আত্মীয়ের জানাজায় যাওয়ার পথে লাশ হলেন একই পরিবারের তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে ময়মনসিংহ নগরীর চর ঈশ্বরদীয়া এলাকায়।
জানা যায়, আত্মীয় মো. মনসুর আলীর জানাজার নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের ব্যবসায়ী বাবলু আহম্মেদ (৫৫)। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী শীলা আক্তার (৪০) ও ছেলে সাদমান আহম্মেদও (১০)।
কিন্তু সেই জানাজায় আর যেতে পারলেন না তারা। সড়কেই ঝরেছে তাদের প্রাণ।
আজ শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার আলালপুরের ময়মনসিংহ-শেরপুর মহাসড়কে তাদের বহনকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাস ধাক্কা দেয়। এতে ওই পরিবারের তিনজনসহ সাতজনের মৃত্যু হয়।
বাবলু আহম্মেদ ফুলপুর উপজেলার চর আশাবট গ্রামের বাসিন্দা করিম মাস্টারের বড় ছেলে। তিনি ফুলপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী ছিলেন। বাবলু স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে তার বোনের শ্বশুর মনসুর আলীর জানাজা পড়তে যাচ্ছিলেন বলে স্বজনরা জানান।
বাবলুর স্বজন মো. কামরুজ্জামান বলেন, বাবলু ভালো মনের মানুষ ছিলেন। তিনি চার সন্তানের জনক। এর মধ্যে ছোট ছেলে সাদমান মা-বাবার সঙ্গে যাচ্ছিল। তারও মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুই মেয়ে এবং এক ছেলে এখন এতিম হয়ে গেল।
ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) মো. আনোয়ার হোসেন জানান, সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি ফুলপুর থেকে ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা শেরপুরগামী একটি বাস সেটিকে মুখোমুখি ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির চালকসহ সাতজনের মৃত্যু হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল খালেক বলেন, সিএনজি অটোরিকশাটি ময়মনসিংহ যাচ্ছিল। এ সময় তারাকান্দাগামী একটি মাহেন্দ্রকে যাত্রীবাহী অটোরিকশাটি পাশ কাটিয়ে ওভারটেক করতে গিয়ে হঠাৎ দ্রুতগামী বাসের মুখোমুখি পড়ে যায়। এরপর বাসটি প্রায় ৩০ গজ সামনে গিয়ে ব্রেক করে। এতে দুমড়ে-মুচড়ে যাওয়া অটোরিকশায় থাকা সবার মৃত্যু হয়।
হাআমা/