নেত্রকোণা প্রতিনিধি>
আল্লাহর পক্ষ থেকে মনোনীত দ্বীন ইসলামের হেফাজত , প্রচার-প্রসার, মুসলমানদের ঈমান- আকিদা, আমল-আখলাক, তাহযীব-তামাদ্দুন কুরআন-সুন্নাহর আলোকে বিশুদ্ধভাবে শিক্ষা ও দীক্ষা দানের মহৎ উদ্দেশ্যে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করা হয় সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই মুলত কওমি মাদরাসা নামে পরিচিত।
নববী আদর্শে পরিচালিত অনন্য এক শিক্ষাধারার নাম কওমি মাদরাসা। দারুল উলুম দেওবন্দের পথ-পদ্ধতিতে চলে আসছে কওমি মাদরাসার এই শিক্ষাধারা। নেত্রকোণার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া মিফতাহুল উলুম। দারুল উলুম দেওবন্দের উসুলে হাশতে গানায় পরিচালিত অন্যতম একটি প্রতিষ্ঠান।
১৯৪২ সনে মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠিত হয় । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মাদরাসাটি পাঠদানে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখেছে দেশ-বিদেশে। বর্তমানে মাদরাসাটিতে মকতব থেকে ইফতা বিভাগ পর্যন্ত প্রায় ৬৫০ জন ছাত্র পড়ালেখা করছেন।।
জামিয়ার মুহতামিম মাওলানা আবুল কাসেম আওয়ার ইসলামকে বলেন- আমাদের জামিয়ার সূচনা থেকেই শিক্ষা-দীক্ষা আদব-আখলাকে ছাত্রদের অনন্য হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত আছে। আলহামদুলিল্লাহ! এবছর শিক্ষকদের অনেকেই পুরো বছর কোনো ক্লাসে অনুপস্থিত ছিলেন না। যারা কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় মেধাস্থান অর্জন করে তাদের ভর্তি ও খাবার সম্পূর্ণ ফ্রি করে দেওয়া হয়।
জামিয়ার নাজেমে তালিমাত মাওলানা তাবারুকুল্লাহ সাহেব বলেন- আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মাদরাসার নিয়মিত সবক, তাকরার, মুজাকারা ছাড়াও যেকোনো সময় উস্তাদের কাছে মুরাজাআতের ব্যবস্থা আছে। আবাসিক আসাতিজায়ে কেরাম সার্বক্ষণিক নেগারানি করেন।
জামিয়ার সহকারী নাজেমে তালিমাত মুফতি ইয়াছিন মাহমুদ বলেন- আমাদের মাদরাসায় আলহামদুলিল্লাহ দুর্বল ছাত্রদের নিয়ে আলাদা মেহনত করা হয়। সাপ্তাহিক ও পাক্ষিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।পড়শোনার পাশাপাশি ছাত্রদের হাতের লেখার প্রতি বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়।
জামিয়ার নাজেমে দারুল ইকামাহ মাওলানা হিফজুর রহমান সাহেব বলেন- আমাদের জামিয়াতে ছাত্রদের পড়াশোনার পাশাপাশি আমলি জীবন গঠনের প্রচেষ্টা করা হয়।
এনএ/