চুয়াডাঙ্গায় তীব্র শীতের সাথে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। এতে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। বিপাকে পড়েছেন জেলার সাধারণ মানুষজন। আজ এ জেলায় আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৫টা ৪৫ থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হয়। এসময় ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়।
গত কয়েকদিন ধরে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের কারণে বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা জেলার সব মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গায় থেমে থেমে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে। গত শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) ৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শনিবার ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোববার ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।
তাপমাত্রা সোমবার ও মঙ্গলবার কিছুটা বেড়ে ১০ দশমিক ৯ ও ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও বুধবার তা আবার নেমে আসে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আজ সকাল ছয়টায় এ জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৯টায় একই তাপমাত্রা ছিল। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় তীব্র শীত আর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে মানুষ খুব একটা বাইরে বের হয় নি। সড়কে যানবাহন চলাচলও অনেক কম। এই বৈরী আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। দিনের শুরুতে এমন বৃষ্টি তাদের কাজে বাগড়া দিয়েছে। ফলে এক প্রকার অলস সময় পার করছেন তারা।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃষ্টিপাত আপাতত শেষ হয়েছে। এতে ঘন কুয়াশাও কমবে। তবে শীতের তীব্রতা বাড়বে।
এদিকে, তীব্র শীতে আজ চুয়াডাঙ্গা জেলার সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘জেলা প্রশাসক মহোদয়ের সাথে আলোচনা করে বৃহস্পতিবার জেলার সকল মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সামনে সপ্তাহে তাপমাত্রা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এনএ/