শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
খুলনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে ইসরায়েলি নাগরিক গ্রেপ্তার ‘উলামায়ে কেরামদের বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন অসম্ভব’ নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে প্রধান উপদেষ্টার গাজাজুড়ে ইসরায়েলের নৃশংস হামলা, নারী-শিশুসহ নিহত ২৮ ফিলিস্তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

নিজ আসনের সীমানা জানেন না বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম যুক্তিবাদী!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

নিজ নির্বাচনি আসনের সীমানা পরিধি জানেন না ফেনী-২ আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম। প্রচার প্রচারণার ব্যানার, পোস্টারে নিজ নির্বাচনি আসনের পরিধি ভুল লেখায় গুণতে হয়েছে তিন হাজার টাকা জরিমানা।

ফেনী-২ আসনের নির্বাচনি এলাকা ফেনি সদর উপজেলা নিয়ে গঠিত হলেও ওই প্রার্থী তার প্রচার সামগ্রীতে লিখেছেন ফেনী সদর ও সোনাগাজীর একাংশের প্রার্থী তিনি। বিষয়টা নজরে আসলে শহর জুড়ে হাস্যরসের সৃষ্টি  হয়।

প্রশাসনের নজরে আসার পর সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুদ্দোজ্জা শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) রাতে পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয়ায় ফেনী-২ আসনের বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলামকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। একইসঙ্গে সকল পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন প্রত্যাহারের আদেশ দেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনি প্রচারণা আরও আগে শুরু হলেও ফেনী-২ আসনের মোমবাতি প্রতীকের প্রচারণা শুরু হয় শুক্রবার থেকে। এতে গতকাল ফেনী শহরের বিভিন্ন স্থানে সবার নজরে আসে মোমবাতি প্রতীকের ব্যানার, ফেস্টুন ও পোস্টার।

ফেনী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শাহীনা আক্তার বলেন, বিষয়টি অবগত হওয়ার পর ভুল নির্বাচনি এলাকা প্রচার করায় প্রার্থীকে জরিমানা করে সকল প্রচার সামগ্রী প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, আসন সম্পর্কে শুরুতে আমার ধারণা ছিল না। আমার দলের ফেনী জেলা সেক্রেটারি কাজী নুরুল আলম আমাকে বলেছিলেন, ফেনী সদর ও সোনাগাজীর একাংশ নিয়ে সীমানা পরিধি। আমি সে অনুযায়ী পোস্টার, ফেস্টুন ও ব্যানারে সীমানা পরিধি উল্লেখ করেছি। তিনি আমাকে বলেছিলেন, এভাবে না লিখলে সোনাগাজীর ভোটারেরা কষ্ট পাবে। পরে বুঝতে পেরেছি তথ্যটি ভুল।

জরিমানার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ম্যাজিস্ট্রেটকে বলেছি পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুনে সোনাগাজীর একাংশ শব্দ দুটি কালি দিয়ে মুছে দেব। নির্বাচন উপলক্ষে মোমবাতি প্রতীকের এক হাজার পোস্টার, ৩০০ ফেস্টুন ও ১০টি ব্যানার ঝুলিয়েছেন বলে জানান তিনি।

২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ফেনী সদর উপজেলার ফরহাদনগর, ধলিয়া, লেমুয়া, ছনুয়া ও ফাজিলপুর ইউনিয়ন বাদে ৮টি ইউনিয়ন ও দাগনভুঞা উপজেলা নিয়ে ফেনী-২ সংসদীয় আসন ছিল। ২০০১ সালের পরে এই বিন্যাসটি পরিবর্তন করে পুরো ফেনী সদর উপজেলাকে নিয়ে ফেনী-২ আসন গঠন করা হয়। এ বিন্যাসেই ২০০৮ সাল থেকে ফেনী-২ আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, বিগত ১১টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-২ আসনের সঙ্গে সোনাগাজীর উপজেলার কখনও কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না।

কেএল/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ