গাজীপুরে বিক্ষোভকারী পোশাক শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। ঘটনাস্থলের পাশে থাকা আঞ্জুয়ারা খাতুন নামে এক নারী শ্রমিক গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো দুজন। নতুন ঘোষিত মজুরিকাঠামো প্রত্যাখান করে মহাসড়কে নামতে গেলে ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আজ বুধবার সকালে সংঘর্ষে গুরুতর আহত হওয়ার পর আঞ্জুয়ারাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ও পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওই নারীর মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আঞ্জুয়ারা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানার চড় গ্রিস গ্রামের জামাল বাদশার স্ত্রী। তিনি কোনাবাড়ীর ইসলাম গার্মেন্টসে সেলাই মেশিন অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন। মোস্তফা কামাল নামে আঞ্জুয়ারার এক ভাইও মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ঢামেক হাসপাতালে আসা আঞ্জুয়ারার ননদ আরজিনা বেগম বলেন, সকালে তারা কারখানায় কাজ করতে গিয়েছিলেন।
গণ্ডগোল দেখে কারখানা কর্তৃপক্ষ ছুটি ঘোষণা করে। পরে বাসায় ফেরার পথে আঞ্জুয়ারা মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতাল ও পরে ঢামেকে আনা হয়।
আহত দুজন হলেন জালাল উদ্দিন (৩০) ও মাজেদা (৪০)। শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি প্রত্যাখ্যান করে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ি, কুদ্দুস নগর ও জরুনসহ আশপাশের কয়েকটি এলাকার পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা সকাল ৮টার দিকে বিক্ষোভে নামেন।
এনএ/
তারা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধের চেষ্টা করলে পুলিশ টিয়ারসেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। এতে কয়কজন আহত হন এবং শ্রমিকেরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান।
আহতদের মধ্যে আঞ্জুয়ারা ও জামাল উদ্দিনকে ঢাকা এবং মাজেদাকে শহীদ তাজউদ্দীন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। কোনাবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ জানান, শ্রমিক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ঢাকা মেডিকলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।