চাঁদ দেখা ও শরীয়তের নীতিমালা
প্রকাশ:
৩০ মার্চ, ২০২৫, ০৪:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| মুফতি মুহাম্মাদ শোয়াইব ||
"َإِنْ غُمّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا العِدّةَ ثَلاَثِينَ" যদি চাঁদ দৃষ্টির আড়ালে থাকে, তবে মাসের গণনা ৩০ পূর্ণ করো। (সহীহ বুখারী, হাদীস ১৯০৭) এটি ফিকহ ও ফতোয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিকট সুস্পষ্ট একটি উসূল। এ বিষয়ে হযরত মাওলানা মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ.-এর ‘রুয়াতে হিলাল’ পুস্তিকায়ও বিস্তারিত আলোচনা রয়েছে, যার বাংলা অনুবাদও পাওয়া যায়। চান্দ্রমাস নির্ধারণ ও সৌদির সাথে পার্থক্যের বিষয়
এ বিধান অনুসারে সৌদি আরবের সাথে আমাদের দুই দিনের পার্থক্য হতে পারে। এতে কোনো সমস্যা নেই, কারণ মূল বিষয় হলো শরীয়তের অনুসরণ। জ্যোতির্বিজ্ঞান বা চন্দ্রকলার পরিবর্তনকে শরীয়ত ভিত্তি বানায়নি; বরং ‘রুয়াতে হিলাল’ (চাঁদ দেখা) এবং শরয়ী পদ্ধতিতে তা প্রমাণিত হওয়াকেই নির্ভরযোগ্য মানদণ্ড হিসেবে গ্রহণ করেছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হলে বা চাঁদ দেখা না গেলে, শরীয়তের নির্দেশনা অনুযায়ী মাসকে ৩০ দিন পূর্ণ করতে হবে। শরীয়ত অনুযায়ী ‘রুয়াতে হেলাল’ সাব্যস্ত হওয়ার জন্য যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের সামনে চাঁদের প্রমাণ উপস্থিত হওয়া অপরিহার্য। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাক্ষ্য বা বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা খবরের ভিত্তিতে কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত বাতিল করা যায় না। এছাড়াও আয়েশা রাযি.-এর বর্ণিত আছারে এসেছে— অতএব, শরীয়তের বিধান অনুযায়ী যথাযোগ্য কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। ব্যক্তিগত পর্যায়ে পাওয়া খবর বা সাক্ষ্য দ্বারা তা পরিবর্তিত হবে না। এমএম/ |