প্রলয়ংকারী ভূমিকম্প: কারণ ও প্রতিকার
প্রকাশ:
২৯ মার্চ, ২০২৫, ০১:০১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| জুবায়ের বিন আব্দুল কুদ্দুস || গতকাল (২৮/৩/২০২৫) থাইল্যান্ড এবং মায়ানমারে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে। বহু ঘরবাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মানুষের ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চোখের সামনে বড় বড় বিল্ডিংগুলো ধুলোর মত মাটির সাথে মিশে গিয়েছে। আগামী ৭২ ঘন্টার মাঝে এমন ভয়ংকর, শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হানতে পারে মর্মে কেউ কেউ প্রচার করছেন। যার কারনে জনমনে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। ভূমিকম্প কেন হয়? তার কারণ উদ্ঘাটন করতে গেলে আমরা দু’ধরনের আলোচনা দেখতে পাই। বৈজ্ঞানিক তথ্যে বাহ্যিক কারণসমূহ জানা যায় এবং কুরআনী তথ্যে অভ্যন্তরীণ কারণ সমূহ জানা যায়। এদুয়ের মধ্যে ভূমিকম্পের ব্যাপারে তেমন কোন বৈপরীত্য নেই। বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ভূমিকম্প: কোরআন হাদিসের দৃষ্টিতে ভূমিকম্প: অতীতে লূত, আদ, ছামূদ সহ আরো অনেক সম্প্রদায়কে এসব নাফরমানির কারণে এ জাতীয় বিভিন্ন আজাব গজব দিয়ে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। হাদিস শরীফে প্রকাশ্যে পাপাচারকেই আল্লাহর আজাব-গজবের মূল কারণ সাব্যস্ত করা হয়েছে। যেমন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন—কোন জাতির মধ্যে প্রকাশ্যে পাপাচার হতে থাকে এবং তাদের প্রভাবশালী ব্যক্তিরা ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও পাপাচারীদের বাধা দেয় না, তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের উপর ব্যাপকভাবে শাস্তি পাঠান। (আবু দাউদ, হাদিস -৪৩৩৮) কোরআন-হাদিসের আলোকে পরিষ্কার হয়ে যায়, ভূমিকম্প সহ এ জাতীয় দুর্যোগের মূল কারণ হচ্ছে- আল্লাহর অবাধ্যতা এবং পাপাচার। তাই আসুন! আল্লাহর অবাধ্যতা এবং পাপাচার পরিহার করি এবং আজাব গজব থেকে বেঁচে থাকি। প্রকৃতপক্ষে এসব দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য মানব মেধা প্রসূত চিন্তাভাবনা ও নির্দেশনা কোনই কাজে আসবে না। তাই আমাদের উচিত কোরআন সুন্নাহে বর্ণিত নির্দেশনার উপর আমল করা। তবেই মহান আল্লাহ আমাদেরকে এসব দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করবেন, ইনশাআল্লাহ। দুর্যোগ ও দুর্ঘটনা থেকে বাঁচার আমল
পরিশেষে: ভূমিকম্প কিংবা কোন ধরনের দুর্যোগ ও দুর্ঘটনার কথা শুনে ভীত-সন্ত্রস্ত হওয়ার কোনো কারণ নেই। আমরা আমাদের আমলগুলো করতে চেষ্টা করি। একটি হাদীসে কুদসিতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- আল্লাহ তায়ালা বলেন-আমার বান্দারা যদি আমার আনুগত্য করত, তাহলে আমি রাতে বৃষ্টি বর্ষণ করতাম আর দিনে সূর্যের আলো দিতাম। আমি তাদেরকে (আজাব-গজব তো দূরের কথা) বজ্রের আওয়াজ ও শুনাতাম না।(মুসনাদে আহমদ, হাদিস -৮৬৯৩) তাই আসুন! সকল ধরনের পাপাচার পরিহার করি। তাহলে আল্লাহ তায়ালা সকল ধরনের আজাব গজব থেকে মুক্তি দান করবেন এবং সুখ শান্তি ও নিরাপত্তার দান করবেন, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফিক দান করেন, আমীন। এমএম/ |