রমজানে দানশীলতা ও পরোপকার
প্রকাশ:
১৮ মার্চ, ২০২৫, ০২:১৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
|| শায়খ ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস || তাকওয়া হলো রোযার মূল উদ্দেশ্য, সারকথা, প্রাণশক্তি ও তাৎপর্য। মহান আল্লাহ বলেন, یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا کُتِبَ عَلَیۡکُمُ الصِّیَامُ کَمَا کُتِبَ عَلَی الَّذِیۡنَ مِنۡ قَبۡلِکُمۡ لَعَلَّکُمۡ تَتَّقُوۡنَ ۙ অর্থাৎ, 'হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্যে সিয়ামের বিধান দেওয়া হলো, যেমন বিধান তোমাদের পূর্ববর্তীগণকে দেওয়া হয়েছিল, যাতে তোমরা মুত্তাকী হতে পার।' (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৩) فيا أيها الإنسان بَادِرْ إلى التُّقَى অর্থাৎ, 'হে মানুষ! তাকওয়ার পথে এগিয়ে চলো ও সুযোগ থাকতেই সৎকর্মে মেতে ওঠো। কতই না সুন্দর ও সঠিক তাকওয়ার পথ, এটাই মানুষকে সম্মানিত করে তোলে।' যখন মুসলিম উম্মাহ পবিত্র রমজানের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেয়, তার কল্যাণময় দিনগুলোর সৌন্দর্য উপভোগ করে, তার রহমতের সুধা পান করে ও তার নূরের ঝলক দেখে বিমুগ্ধ হয় তখন কত দ্রুত এই মাস অর্ধেক অতিক্রম করল, কিন্তু এরপরও এখনো অনেকেই নিজেদের সংশোধন করতে পারিনি। রমজান দানশীলতা, কল্যাণ ও অনুগ্রহের মাস, যার নদীগুলো আনুগত্যে প্রবাহিত, যার ফুলগুলো কল্যাণ ও সৎকর্মের সুবাস ছড়ায়। মুসলিমগণ উদগ্রীব হয়ে এর রহস্য ও লক্ষ্য অনুধাবন করতে চায়, গভীর একাগ্রতার সঙ্গে এর শিক্ষায় মনোনিবেশ করে। এ মাসের দিনগুলো আনুগত্য ও আনন্দের প্রতিদান দেয়, আর রাতগুলো কুরআনের আলোয় উদ্ভাসিত হয়। এটি এমন এক মাস যাকে আল্লাহ বরকতময় করেছেন ও কুরআন অবতীর্ণ করে একে চিরস্মরণীয় করে রেখেছেন। মহাগ্রন্থ আল কুরআনে এসেছে, شَہۡرُ رَمَضَانَ الَّذِیۡۤ اُنۡزِلَ فِیۡہِ الۡقُرۡاٰنُ ہُدًی لِّلنَّاسِ وَبَیِّنٰتٍ مِّنَ الۡہُدٰی وَالۡفُرۡقَانِ ۚ অর্থাৎ, 'রমজান মাস, এতে মানুষের দিকনির্দেশনা, সৎপথের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।' (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৫) আল্লাহ তাআলা রোযাকে ফরজ করেছেন, যাতে মুসলমানরা তাদের ইবাদতের সুন্দর গুণাবলী পুনরুজ্জীবিত করতে পারে ও কল্যাণের পথে নতুন করে অগ্রসর হতে পারে। এর মাধ্যমে তারা ঈমানের উচ্চস্তরে উন্নীত হয় এবং সৎকর্মশীল ও কল্যাণকামীদের গুণাবলী অর্জন করে। ইসলাম শুধু বাহ্যিক রোযা পালনের উপর গুরুত্ব দেয়নি, বরং আত্মার পরিশুদ্ধি, চরিত্রের উৎকর্ষ ও মানবিক গুণাবলির উন্নয়নকেও গুরুত্ব দিয়েছে। এ কারণেই আল্লাহ তাআলা এই ইবাদতকে বিশেষভাবে নিজের জন্য নির্দিষ্ট করেছেন। অর্থাৎ, 'আদম সন্তানের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোযা আমার জন্য। আর আমিই এর প্রতিদান প্রদান করব।' (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৫৯২৭) কবি বলেছেন, شهرٌ حباهُ إلهُ العرشِ مكرمةً অর্থাৎ, 'এটি এমন এক মাস, যা আরশের প্রতিপালকের বিশেষ অনুগ্রহে ধন্য। এর ফলে আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপর দয়া করেন, যার পথ সংকীর্ণ হয়ে গেছে। তিনি পরম দয়ালু, তাঁর কাছে আশাবাদী কেউ কি ব্যর্থ হতে পারে? যে অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁর রহমত কামনা করে, সে কি কখনো বঞ্চিত হয়?' রমজানের বরকতময় দিনগুলো আমাদের জন্য আত্মপর্যালোচনা, কাজের সংশোধন, মতবিরোধ ভুলে ঐক্য গড়ে তোলা এবং বুদ্ধিমত্তা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করার সুবর্ণ সুযোগ। এটি একে অপরের সঙ্গে সহযোগিতার, কল্যাণের কাজে এগিয়ে আসার ও তাকওয়া অর্জন করার মাস। রমজান আমাদের শেখায়—সময়কে মূল্যায়ন করা, ভালো কাজে প্রতিযোগিতা করা ও বেশি বেশি নেক আমল করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, فَاسْتَبِقُوا الْخَيْرَاتِ অর্থাৎ, 'সুতরাং তোমরা সৎকর্মে প্রতিযোগিতা করো।' (সূরা মায়েদা, আয়াত: ৪৮) প্রখ্যাত ইসলামিক পণ্ডিত ইমাম ইবনে কাইয়্যিম রহ. বলেন, 'মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর রমজানের জীবনধারা ছিল পরিপূর্ণ, লক্ষ্য অর্জনের জন্য সর্বোত্তম ও সবার জন্য সহজ।' রমজানে তিনি নানা ধরনের ইবাদতে বেশি মনোযোগ দিতেন। হযরত জিবরাঈল আ. তাঁর সঙ্গে কুরআন তেলাওয়াত করতেন। তিনি দান-সদকা, নামাজ, জিকির ও ইতিকাফে অধিক মনোযোগী হতেন। এই মাসে তিনি বিশেষ এমনকিছু আমল করতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না। অতএব, হে আল্লাহর বান্দারা! তোমাদের শক্তি ও মনোবল জাগ্রত করো, আল্লাহর জন্য ভালো কিছু করার দৃঢ় সংকল্প করো, তোমাদের অন্তরকে উদাসীনতার ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলো ও চোখকে নিষিদ্ধ জিনিস থেকে ফিরিয়ে রাখো। সত্যিকারের সফল সেই ব্যক্তি, যে আনুগত্যের গুণাবলি ধারণ করে। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে দানশীল, আর রমজানে তাঁর দানশীলতা প্রবাহিত বাতাসের চেয়েও বেশি ছিল (সহিহ বুখারি, হাদিস: ৬) তাই এই বরকতময় মাসে আমাদেরকেও উদারতা ও দানশীলতায় মনোযোগী হতে হবে। সম্মানিত সুধী! আল্লাহ তোমাদের যা দিয়েছেন, তা থেকে উদার হাতে দান করো, দুঃখী ও অভাবীদের সাহায্য করো, ঋণগ্রস্তদের বোঝা হালকা করো, দুঃখ-কষ্টে থাকা লোকদের সহায়তা করো, এমনকি কারাগারে থাকা অসহায় মানুষদের মুক্তির জন্যও তোমাদের সাহায্য বাড়িয়ে দাও। অর্থাৎ, 'তোমরা যা কিছু ব্যয় করবে তিনি তার প্রতিদান দেবেন। তিনিই শ্রেষ্ঠ রিযিকদাতা।’ (সূরা সাবা, আয়াত: ৩৯) হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَا مِنْ يَوْمٍ يُصْبِحُ الْعِبَادُ فِيهِ إِلاَّ مَلَكَانِ يَنْزِلاَنِ فَيَقُولُ أَحَدُهُمَا اللَّهُمَّ أَعْطِ مُنْفِقًا خَلَفًا، وَيَقُولُ الآخَرُ اللَّهُمَّ أَعْطِ مُمْسِكًا تَلَفًا অর্থাৎ, 'প্রতিদিন সকালে দুজন ফেরেশতা অবতরণ করেন। তাঁদের একজন বলেন, হে আল্লাহ! দাতাকে তার দানের উত্তম প্রতিদান দিন ও অন্যজনকে বলেন, হে আল্লাহ! কৃপণকে ধ্বংস করে দিন।' (সহিহ বুখারী, হাদিস: ১৪৪২) মানুষ দুই ধরণের হয়—এক দল সফল ও রহমতপ্রাপ্ত, আরেক দল কৃপণ ও বঞ্চিত। তাই আমাদের হাত যেন সবসময় কল্যাণের জন্য প্রসারিত থাকে, যাতে অন্যরা উপকৃত হতে পারে। অবশ্য দানের কাজ নিরাপদ ও বিশ্বস্ত সংস্থার মাধ্যমে হওয়া উচিত। যেমন: কিং সালমান মানবিক সাহায্য সংস্থা ও 'ইহসান' প্ল্যাটফর্ম—এগুলো হলো দান-সদকার উজ্জ্বল উদাহরণ। এই বরকতময় দেশে এর শাসকদের পক্ষ থেকে দাতব্য ও মানবিক কাজের প্রতি যে আন্তরিকতা ও উদারতা রয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়। বিশেষ করে 'ইহসান' প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে পরিচালিত জাতীয় দাতব্য প্রচারাভিযান ও শাসকদের মহান দানশীলতা এ দেশের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দাতব্য কাজের প্রতি তাদের অবিচল সমর্থনের প্রমাণ। এই মহৎ কাজগুলোকে সমর্থন ও সহযোগিতা করা জরুরি, কারণ এগুলো ধর্মীয়, সামাজিক, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মানবিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। পাশাপাশি এগুলো ভিক্ষাবৃত্তি কমাতেও সাহায্য করে। ভিক্ষাবৃত্তি এমন এক ক্ষতিকর প্রবণতা, যা দুঃখজনক পরিস্থিতি তৈরি করে, অপরাধের পথ খুলে দেয় ও কর্মসংস্কৃতির বিরুদ্ধে যায়। এটি প্রচলিত আইন, ধর্মীয় নীতিমালা ও সভ্য সমাজের শিষ্টাচারের পরিপন্থী। ভিক্ষাবৃত্তি অলসতা ও বেকারত্বকে উৎসাহিত করে সমাজের মূল্যবোধকে বিকৃত করে ফেলে। জাকাত দেওয়া ও দান করা হলো একটি চমৎকার ইবাদত, যা মানুষকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের সুযোগ করে দেয়। মহান আল্লাহ বলেন, خُذۡ مِنۡ اَمۡوَالِہِمۡ صَدَقَۃً تُطَہِّرُہُمۡ وَتُزَکِّیۡہِمۡ بِہَا অর্থাৎ, 'এদের সম্পদ হতে ‘সাদাকা’ গ্রহণ করবে। এটা দিয়ে তাদেরকে পবিত্র ও পরিশোধিত করবে।' (সূরা তওবা, আয়াত: ১০৩) তাই আসুন, দান-সদকা আরও বাড়াই এবং ওয়াকফ, দাতব্য প্রকল্প ও সমাজকল্যাণমূলক কাজগুলোতে বিনিয়োগ করি। কারণ এসব কাজ টেকসই, সুশৃঙ্খল ও স্বচ্ছ সমাজের সার্বিক কল্যাণ নিশ্চিত করে।এগুলোর মধ্যে রয়েছে— হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন, রাস্তা নির্মাণ, আবাসন ব্যবস্থা উন্নতকরণ, পানি সরবরাহের জন্য কূপ খনন, দ্বীনী শিক্ষার প্রসার, কুরআন শিক্ষার হালকা ও মাদরাসা সহায়তা, কুরআন শরিফ ও হাদিসের বই বিতরণ, এতিমদের দেখাশোনা, সদকায়ে জারিয়াহ এবং বিশ্বস্ত ইসলামী ও শিক্ষামূলক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠা। ব্যবসায়ী ও ধনীদের উচিত এসব মহৎ কাজে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা। কখনো কখনো দানকে প্রকাশ্যে করা উত্তম, যাতে অন্যরাও উৎসাহিত হয় ও দানের প্রভাব দীর্ঘস্থায়ী হয়। তাই, হে মুসলিম ভাই! তুমি দানশীলতার অনুপ্রেরণা হও, সদকায় এগিয়ে আসো এবং এমন কিছু করো যা চিরকাল মানুষের উপকারে আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন, وَمَا تُنۡفِقُوۡا مِنۡ خَیۡرٍ یُّوَفَّ اِلَیۡکُمۡ وَاَنۡتُمۡ لَا تُظۡلَمُوۡنَ অর্থাৎ, 'যে ধন-সম্পদ তোমরা ব্যয় কর তার পুরস্কার তোমাদেরকে পুরাপুরিভাবে প্রদান করা হবে এবং তোমাদের প্রতি অন্যায় করা হবে না।' (সূরা বাকারা, আয়াত: ২৭২) হে আল্লাহর বান্দারা! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো ও রহমত, মাগফিরাত ও দানশীলতার মাসে বেশি বেশি নেক আমল করো। আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্যতার আশা রাখো ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, কারণ আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমেই সফলতা অর্জিত হয় ও নেয়ামত লাভ হয়। রমজান হলো পরিশ্রম, উদ্যম ও সফলতার মাস। এটি বিজয় ও অর্জনের মাস। হিজরির দ্বিতীয় বর্ষে এই মাসেই মুসলমানরা বদর যুদ্ধের মহান বিজয় অর্জন করেছিল। এরপর যুগে যুগে মুসলমানরা বহু বিজয় লাভ করেছে, যার অনেকগুলোই রমজান মাসে সংঘটিত হয়েছে। তাই, হে আল্লাহর বান্দারা! অলসতা ও দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলো। সফলতা ও বিজয়ের জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাও। আল্লাহর ওপর ভরসা করো, কঠোর পরিশ্রম করো ও নিজের সেরাটা দাও। বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে আল্লাহর ইবাদতে অধিক পরিমাণে আত্মনিয়োগ করো, কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই দিনগুলোতে বিশেষভাবে ইবাদতে মনোনিবেশ করতেন। উম্মুল মুমিনীন হযরত আয়েশা রা. বলেন, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমজানের শেষ দশকে এমনভাবে ইবাদতে মশগুল হতেন, যা অন্য সময়ে করতেন না।' (বুখারি) তিনি এই দিনগুলোতে ইবাদতে আরো বেশি মনোযোগী হতেন, রাত জাগতেন এবং পরিবারের সদস্যদেরও ইবাদতে উৎসাহিত করতেন। তাই, তোমরাও ইবাদতে মনোযোগী হও, রাতে বেশি বেশি নামাজ পড়ো, চোখ দিয়ে অনুতাপের অশ্রু ঝরাও এবং আল্লাহর রহমত ও ক্ষমার আশায় নিজেকে সমর্পণ করো। এই অল্প কটি বরকতময় দিনের গুরুত্ব বুঝো এবং ফরজ ও নফল ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভের চেষ্টা করো। অতীতে করা ভুলগুলো সংশোধন করো এবং ইতিকাফ, কিয়ামুল লাইল, দুআ ও আল্লাহর স্মরণে সময় ব্যয় করো। এই মাস এখনো শেষ হয়নি, তাই যারা অলসতা করেছে, তাদের জন্য এখনো সুযোগ আছে। আল্লাহর রহমত লাভের ব্যবসা এখনো লাভজনক! মহান আল্লাহ এই মাসে দোয়ার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেছেন, وَاِذَا سَاَلَکَ عِبَادِیۡ عَنِّیۡ فَاِنِّیۡ قَرِیۡبٌ ؕ اُجِیۡبُ دَعۡوَۃَ الدَّاعِ اِذَا دَعَانِ ۙ অর্থাৎ, 'আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্বন্ধে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই। প্রার্থনাকারী যখন আমার নিকট প্রার্থনা করে আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দিই।' (সূরা বাকারা, আয়াত: ১৮৬) তাই, হে মুসলিমগণ! আল্লাহর দরবারে হাত তোলো, নিজের জন্য, পরিবার ও দেশ-জাতির জন্য দোয়া করো, বিশেষ করে নির্যাতিত ও নিপীড়িত মুসলমানদের জন্য দোয়া করো; আল্লাহ যেন তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করেন, তাদের মুক্তি দেন। অনুবাদ: আবদুল কাইয়ুম শেখ এমএইচ/ |