সার্বিয়ার পার্লামেন্টে ছোড়া হলো স্মোক গ্রেনেড, স্ট্রোকে আক্রান্ত আইনপ্রণেতা
প্রকাশ:
০৫ মার্চ, ২০২৫, ০৯:৩৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
![]()
সার্বিয়ার পার্লামেন্টের অধিবেশনকক্ষে স্মোক গ্রেনেড (ধোঁয়া সৃষ্টিকারী গ্রেনেড) ও পিপার স্প্রে ছুড়েছেন বিরোধী দলের আইনপ্রণেতারা। সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে গতকাল ( মঙ্গলবার ৪ মার্চ) বিরোধী আইনপ্রণেতারা এই স্মোক গ্রেনেড ও পিপার স্প্রে ছোড়েন। এতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে একজন আইনপ্রণেতা স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোট সমঝোতা আলোচনার বিষয়ে অনুমোদন দেওয়ার পর পার্লামেন্ট অধিবেশনে আসন ছেড়ে কয়েকজন বিরোধী আইনপ্রণেতা স্পিকারের দিকে তেড়ে যান। জড়িয়ে পড়েন নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতিতে। এ সময় কিছু বিরোধী আইনপ্রণেতা স্মোক গ্রেনেড ও পিপার স্প্রে ছুড়ে মারেন। টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা দৃশ্যে দেখা যায়, অধিবেশনকক্ষে কালো ও গোলাপি রঙের ধোঁয়া উড়ছে। ঘটছে হাতাহাতি। দেশটিতে ১৯৯০–এর দশকে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু হওয়ার পর এই প্রথম এমন ঘটনা ঘটল। এদিকে প্রেসিডেন্ট ভুসিস বলেছেন, হট্টগোলের সঙ্গে জড়িত সব আইনপ্রণেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাকে তিনি ‘গুন্ডামি’ বলে আখ্যা দেন। স্পিকার আনা ব্রনাবিচ বলেন, তিন আইনপ্রণেতা আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির জেসমিনা ওব্রাদোভিচ স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জ্লাতিবর লোনকার বলেছেন, ওব্রাদোভিচের অবস্থা সংকটাপন্ন। কয়েক মাস ধরে চলা দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের মুখে গত ২৮ জানুয়ারি পদত্যাগ করেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী মিলোস ভুচেভিচ। এরপরও দেশটিতে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থামছে না। গত নভেম্বরে সার্বিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভিসাদে একটি ট্রেন স্টেশনের ছাদ ধসে ১৫ জন নিহত হন। এর জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ। একপর্যায়ে তা দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয় এবং পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিদিনই দেশটিতে বিক্ষোভ চলছে। এনআরএন/ |