দাবি পূরণে ৭ দিনের আল্টিমেটাম ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের
প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:৪৪ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

সাত দিনের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সব জেলায় সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদ। শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে এ দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।

তারা বলেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে নীতিমালার বিষয়ে সুরাহা করতে হবে। তা নাহলে ৩০ নভেম্বর আমরা দেশের ৬৪ জেলায় সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে সমাবেশ করব।

এসময় তারা কয়েকটি দাবি জানান। সেগুলো হলো-

নীতিমালা অনুযায়ী ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত যানবাহনের নিবন্ধন, চালকদের লাইসেন্স ও রুট পারমিট প্রদান করা। কারিগরি ত্রুটি সংশোধন করে ব্যাটারিচালিত যানবাহনের আধুনিকায়ন করা।

চালক-মেকানিক-মালিকসহ ৬০ লাখ ও তাদের ওপর নির্ভরশীল আড়াই কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষায় ব্যাটারিচালিত যানবাহন চলাচল বন্ধ করা যাবে না।

ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও রিকশা চালকসহ নিহত-আহত সব শ্রমিকের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। বিদ্যুৎ চুরি ও অপচয় বন্ধ করতে ইলেকট্রিক বা ব্যাটারিচালিত যানবাহনের জন্য চার্জিং স্টেশন স্থাপন করা।

সব সড়ক-মহাসড়কে ইজিবাইক, রিকশাসহ ব্যাটারিচালিত স্বল্প গতির ও লোকাল যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড/বাই লেন নির্মাণ করে সড়কে বিশৃঙ্খলা দূর ও দুর্ঘটনা নিরসন করা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক নীতিমালা চূড়ান্ত ও আধুনিকায়ন করে নিবন্ধন, চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স, রুট পারমিট প্রদান এবং চালকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে।

তারা বলেন, গত তিন দিন আমাদের ওপর হামলা হয়েছে। অনেকে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। দেশের জন্য আমাদের অনেক অবদান ছিল। জুলাই আন্দোলনের সময় রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স, গাড়ি কিছুই ছিল না। সে সময় অটোরিকশাই ছিল একমাত্র ভরসা। আমরা সবাই স্বৈরাচার শেখ হাসিনাবিরোধী ছিলাম। আমাদের সঙ্গে স্বৈরাচারী আচরণ করবেন না। হাইকোর্টের রায় পুনর্বিবেচনা করুন।

ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক খালেকুজ্জামান লিপন বলেন, গত তিন দিন বিভিন্ন এলাকায় আমাদের হয়রানি করা হয়েছে। কারা শ্রমিকের বুকে লাথি মারল- এটা সরকারকে বের করতে হবে। গত ১২ বছর ধরে রাজপথে লড়াই করেছি। আমরা বারবার বলেছি, ব্যাটারিচালিত রিকশার জন্য নীতিমালা তৈরি করুন। আমরা আলাদা রুটের জন্য বলে আসছি ২০১২ সাল থেকে। (জুলাই-আগস্টে) ৩৬ দিনের আন্দোলনে আমাদের রিকশাচালকরা সবার পাশে ছিলেন। জুলাই আন্দোলনে আহত হয়ে আমাদের চালকরা এখনো হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন। গত ২৪ অক্টোবর নীতিমালার বিষয়ে সরকারকে স্মারকলিপি দিয়েছিলাম। এরপর হঠাৎ করে হাইকোর্ট থেকে আমাদের বিরুদ্ধে রায় দেওয়া হলো। আমাদের অনুরোধ, আদালতকে ব্যবহার করে আমাদের পেটে লাথি মারবেন না।

ঢাকাসহ সারাদেশে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক জব্দ বন্ধ করা ও জব্দ করা রিকশা ও ব্যাটারি ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তারা।