ওলামায়ে কেরাম ক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্য: মুফতী ফয়জুল করীম
প্রকাশ: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ০১:৫৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ১৮০৩ সালে বৃটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুচনা করেছিলো মুসলমানরা। সিপাহী বিপ্লবের সূচনা করেছিলেন মুসলমানরা। ৪৭ সালের আন্দোলনে দেশ বিভক্তিতে ভুমিকা রেখেছিলো মুসলমানরা। এদেশ স্বাধীন করেছিলো মুসলমানরা। এজন্য বলতে হবে দেশ মুসলমানদের, অধিকার সবার। দেশ মুসলমানদের হওয়ার পরেও মুসলমানদের নেতৃত্ব নেই কেন? বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সামনে না থাকলে ইসলামপন্থীরা আবারো সমস্যায় পড়তো। ওলামারা ক্ষমতায় যাওয়ার যোগ্য। চোর-ডাকাত-জালেম-চাদাবাজ-ধর্ষকরা দেশে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

শায়খে চরমোনাই বলেন, ইসলাম ভয়ংকর বিষয় নয় সহজ বিষয়। ইসলাম আসলে সকলে ভালো হয়ে যাবে। রাস্ট্রে ইসলাম আসলে পরিবেশ সৃষ্টি হবে। ইসলামী রাস্ট্রের বিষয়ে দুশমনরা সমাজে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। ইসলাম আসলে দারিদ্র্যরা স্বাবলম্বী হবে। এতিম-মিসকিন ও গরীবদের দায়িত্ব ইসলামী রাস্ট্রের।

তিনি বলেন, যারা নীতির উপরে অবিচল থেকে যেই দল কথায় কাজে মিল রেখে চলে তবে তাদের সাথে ঐক্য হতে পারে। আহলে হকেরা এক ও নেক হলে আমাদের কথার মূল্যায়ন হবে।

আদর্শ সমাজ ও রাস্ট্র গঠনে রাসূল সাঃ এর ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শায়খে চরমোনাই উপরোক্ত কথা বলেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর উত্তরার হোয়াইট হল মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ ঢাকা মহানগরীর উত্তরা পশ্চিম থানার আয়োজনে শাখা সভাপতি মুফতী মুফিজুর রহমান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন, শায়েখ যাকারিয়্যাহ ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার,ঢাকা'র মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, জাতীয় ওলামা মশায়েখ আইম্মা পরিষদ সাধারণ সম্পাদক মুফতী রেজাউল করীম আবরার, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মুফতী হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর সহ-সভাপতি  আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন প্রমূখ।

শায়েখ যাকারিয়া ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, ঢাকা'র মহাপরিচালক মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা জাতীর উদ্দেশ্যে আলোচনায় আলেম ওলামাদের অবদানের কথা উল্লেখ না করা দুখজনক।

তিনি বলেন, ২০২৪ এ স্বাধীনতার পরে যাতে কোন জুলুম নির্যাতন না থাকে এমনটা চেয়েছি। বৈষম্যহীন রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে রাসূলের আদর্শে ইসলামের বিধান অনুযায়ী রাস্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এজন্য শরীয়াহ ও দল-মত নির্বিশেষে ঐক্য হওয়ার কোন বিকল্প নেই। ৫ আগষ্টের পরে পতিত কোন দল ইমাম খতিবদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।

মুফতী মিজানুর রহমান সাঈদ বলেন, বিশ্ব নবীর আদর্শ প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হলে দুনিয়ার সকল অশান্তি দূরীভূত হয়ে জান্নাতি পরিবেশ সৃষ্টি হবে। রাসূল সাঃ ইসলাম ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। মসজিদে নববী ছিলো মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ সা. এর ইসলামী রাস্ট্রের কেন্দ্রবিন্দু। তাওহিদ ও আক্বীদার শিক্ষা আজানের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে। আল্লাহর জমীনে ইসলামী রাস্ট্র গঠনের সিস্টেম চালু করে দিয়েছেন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ সা.। নারীদের কি কি অধিকার দিতে হবে তা রাসুল দেখিয়ে দিয়েছেন। রাসূলের রাস্ট্রে সকলের জন্য মানবাধিকার নিশ্চিত ছিলো। জাতিসংঘের মানবাধিকার মানবাধিকার নয় রাসূল সা. এর মাধ্যমে ইসলাম দিয়েছে প্রকৃত মানবাধিকার।

কেএল/