লক্ষ্মীপুরে বন্যাদুর্গতদের আস্থায় 'আলোর দিশারী ফাউন্ডেশন'
প্রকাশ:
২৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৯:৫৩ রাত
নিউজ ডেস্ক |
|| বিএম আমীর জিহাদী || হঠাৎ করেই ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে বাংলাদেশ। ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় উজানের পানি ও ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ ১৩ জেলা। আশপাশের অঞ্চল। বন্যায় সহায়-সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় হাজার হাজার পরিবার। অন্তত ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দিসহ ক্ষত্রিগ্রস্থ অসংখ্য অগণিত। সীমাহীন দুর্ভোগে আছে বন্যাকবলিত মানুষেরা। এদিকে বন্যায় প্লাবিত লক্ষ্মীপুর জেলাবাসীর অবস্থা চরম বিপাকে। প্রায় দেড় শতাধিক গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত হয়ে বিপর্যস্ত। এতে করে জেলার ৫টি উপজেলার ৪ লাখেরও বেশি মানুষ এখন পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনবরত মুষলধার বৃষ্টির কারণে পানি বেড়ে ডুবে গেছে বিভিন্ন অঞ্চল, এতে রাস্তা ঘাট, কৃষকের ফসল, মানুষের বসতঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ডুবে ভেসে গেছে পুকুর ও জলাশয়ের মাছ। চারদিকে থৈ থৈ করছে শুধু পানি আর পানি। প্লাবিত এলাকাগুলোতে বিশুদ্ধ পানি ও খাবার সংকট দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে কমলনগর, রামগতি, সদর ও রায়পুরের একাংশ। জানা যায়, চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে জেলায় প্রায় ২৫ হাজার পুকুর-জলাশয় ভেসে গেছে, এতে প্রায় ১৫ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। জেলা প্রশাসকও বর্তমান বন্যার্তদের জন্য ১৮৫টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ৬৪টি মেডিকেল টিম গঠন করেছে। আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে প্রায় ৮ হাজার ৫০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এসব এলাকায় লক্ষ্মীপুরের আলেমদের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম ও লক্ষ্মীপুরে মানবসেবায় যে সংগঠনটি সবচেয়ে বেশি ভুমিকা রেখেছে তা হচ্ছে ‘আলোর দিশারী ফাউন্ডেশন লক্ষ্মীপুর’। স্বেচ্ছাসেবী এই সংগঠনটি লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ কার্যক্রম কমলনগরে ৫টি সেচ্ছাসেবী টিমের মাধ্যমে ৭০০ মানুষের জন্য ভারি খাবারসহ তরল খাবারও বিতরণ করা হয়েছে। রায়পুরসহ প্লাবিত প্রায় ৩ শতাধিক মানুষের কাছে খাবার পৌছিয়ে দেয়া হয়। দুর্যোগ পরিস্থিতি উত্তরণে কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে আশ্বাস দিয়েছে সংগঠনটির নেতৃববৃন্দ। কমলনগর-রামগতি টিম নেতৃত্বে রয়েছেন কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুফতি মিসবাহ নূরী, কমলনগর শাখা সভাপতি মুফতি হুমাঈদ সাঈদ কাসেমী, কলাকোপা মাদরাসা উস্তাদ মুফতি তামজীদুল মাওলা কাসেমী, রামগতি শাখা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হাবীব মুহাম্মদসহ দায়িত্বশীলগণ। লক্ষ্মীপুর সদর, রায়পুর উপজেলাসহ জেলাব্যাপি আলোর দিশারী ফাউন্ডেশনের তত্বাবধানে টিমে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, মাদরাসাতুল ইসলাহের মুহতামিমম মাওলানা নুরুল আমীন কাসেমী, রায়পুর লুধুয়া মাদরাসার উস্তাদগণসহ 'আল মুঈন ইসলামী একাডেমীর পরিচালক মাওলানা বশির আহমদ, মাওলানা রেজা আহমদ, মাওলানা গাজী মাসুম বিল্লাহ, মুফতি আব্দুর রব, মাওলানা ইয়াসিন আরাফাত, মাওলানা জাকির প্রমুখ। পরিচালক মুফতি মোহাম্মদ আরাফাত হোসেন বলেন, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মানবিকতার যায়গা থেকে লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী ও ফেনীতে ত্রাণ নিয়ে অনেকেই এসেছেন। কিন্তু লোকেশন এবং উপযুক্ত মানুষের কাছে ত্রাণ দেয়ার মত সঠিক ইনফরমেশন না থাকার ফলে পেরেশানি পোহাতে হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতি লক্ষ্মীপুরে ত্রাণ নিয়ে আসা সকলকে অবগত করার উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা যারাই লক্ষ্মীপুরে আসবেন, লক্ষ্মীপুরের সমাদৃত ও সবচেয়ে বড় সংগঠন 'আলোর দিশারী ফাউন্ডেশন লক্ষ্মীপুর'-এর সাথে যোগাযোগ করে আসলে সঠিক ইনফরমেশন থাকলে আপনাদের ত্রাণ বিতরণে ব্যত্যয় ঘটবে না। প্রয়োজনে: 01821994998 / +880 1863-089383 হাআমা/ |