‘সরকারি দফতরে কওমি মেধাবীদের আলো ছড়াতে রাষ্ট্র ও বোর্ড কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসতে হবে ’
প্রকাশ: ১৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:০৮ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

|| হাসান আল মাহমুদ ||

সরকারি দফতরে কওমি মেধাবীদের আলো ছড়াতে রাষ্ট্র ও কওমি মাদরাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষের এগিয়ে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা ও মিডিয়া নিয়ে অনার্স-মাস্টার্স পাস করা আলেম গবেষক মুহাদ্দিস মাওলানা লিয়াকত আলী

তিনি বলেন, কওমি মাদরাসা পড়ুয়াদের রয়েছে স্বচ্ছ মেধা। সরকারি দফতর ভিত্তিক তাদের সেবা থেকে জাতি যেমন বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি নিজেদের যোগ্যতা, মেধা থাকা সত্ত্বেও সেবা দেয়ার সুযোগ তাদের তৈরী হচ্ছে না। একটি রাষ্ট্রের নানা সেক্টর থকে, কর্মপরিধির নানা খাত থাকে, সেখানে স্বচ্ছ ও আদর্শবান নৈতিকতা সম্পন্ন মেধাবীদের সুযোগ থাকলে, রাষ্ট্র স্বচ্ছভাবে ব্যাপক উপকার পাবে। তাই, রাষ্ট্র এবং কওমি মাদরাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষ-দায়িত্বশীলদের এগিয়ে আসা উচিত।

আজ শনিবার (১৭ আগস্ট ২০২৪) বিকেলে মুঠোফোন সাক্ষাৎকারে আওয়ার ইসলামকে এ কথা বলেন গবেষক, সাংবাদিক এই আলেম।

আরও পড়ুন : রাষ্ট্রের নানা কাজেই কওমি মাদরাসার তরুণরা ভূমিকা রাখতে পারে : ঢাবি অধ্যাপক

আরও পড়ুন : সরকারি সকল দফতরে কওমি তরুণদের মেধার স্বাক্ষর রাখার সুযোগ আছে : ইফা মুহাদ্দিস

দাওরায়ে হাদিস সনদের বাস্তবায়ন ও কওমি মাদরাসার নিচের ক্লাসগুলোর স্বীকৃতি আদায় করা উচিত বলে মনে করে মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, ‘সমস্যা হল দুইটি। একটি হল রাষ্ট্র পাচ্ছে না কওমি মেধাবীর আলো আর কওমি মেধাবীরা ‍দিতে পারছে না রাষ্ট্রকে নিজেদের সেবা। এ দুই সমস্যার সমাধান হল দাওরায়ে হাদিস সনদের বাস্তবায়ন ও কওমি মাদরাসার নিচের ক্লাসগুলোর স্বীকৃতি আদায় করা।

তিনি বলেন, কওমি সনদের স্বীকৃতি না থাকলে সরকারি দফতরগুলোতে কাজ করার সুযোগ পাবে না। কওমি মাদরাসার দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতি দেয়া হলেও নিচের স্তরগুলোর স্বীকৃতি হয়নি। এ না হওয়ার কারণে আইনগত জটিলতা আছে। এ জটিলতা না কাটালে কওমি মেধাবীদের আলো রাষ্ট্র পাবে না।

‘কওমি মাদরাসার দায়িত্বশীলদের উচিত সব স্তরের স্বীকৃতি আদায় করা। এখানে রাষ্ট্র ও কওমি কর্তৃপক্ষ উভয় পক্ষের ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। কওমি সিলেবাস সাজাতে হবে। বৈষয়িক বা সামাজিক যে বিষয়গুলো সিলেবাসে নেই সেসব অন্তর্ভুক্ত করা প্রয়োজন।’-উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে মাওলানা লিয়াকত আলী বলেন, কর্মসংস্থান সমস্যা শুধু কওমি অঙ্গন না, এটা পুরো বাংলাদেশের সমস্যা। এ সমস্যার কারণেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন হল। সারা বিশ্বে কর্মমুখী শিক্ষার উপর জোর দিচ্ছে। কর্মমুখী শিক্ষার বিষয় হল সাইন্স, টেকনলোজি, ইঞ্জিয়ারিং এবং ম্যাথ। আমাদের সাধারণ শিক্ষার নীতিতে এ বিষয়গুলোর উপর জোর দেওয়া উচিত।

এসময় তিনি সংযুক্ত করে বলেন, ‘কওমি মাদরাসার বাইরে সরকারি মসজিদ, স্কুল, প্রাইমারী, হাইস্কুল, আলিয়া মাদরাসায় কওমি সনদ দিয়ে শিক্ষার্থীরা যুক্ত হতে পারলেও জাতি ব্যাপক উপকৃত হবে।

হাআমা/