নতুন কর্মসূচি দিয়ে শাহবাগ ছাড়লেন শিক্ষার্থীরা
প্রকাশ: ১২ জুলাই, ২০২৪, ০৮:০১ রাত
নিউজ ডেস্ক

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের একদফা দাবিতে আগামীকাল শনিবার সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ ও ৬৪ জেলায় অনলাইন ও অফলাইন প্রতিনিধি বৈঠক এবং সন্ধ্যা ৬টায় পরবর্তী কর্মসূচি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ঘোষণা করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার ১২ জুলাই প্রায় এক ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ শেষে সন্ধ্যা সোয়া ৬ টায় ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের’ অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার নতুন এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

আবু বাকের মজুমদার বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) আন্দোলনে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, শেকৃবিসহ অন্যান্য জায়গায় আমাদের ভাই-বোনদের ওপর পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করেছে।

তিনি বলেন, ‘গতকাল (বৃহস্পতিবার) কুমিল্লায় এক সাংবাদিক বন্ধুর ওপর পুলিশ হামলা করেছে। তাছাড়া গতকাল কিছু অছাত্র-কুছাত্রদের নিয়ে এসে ঢাবি ক্যাম্পাস ভরে রাখা হয়েছিল। পরে শাহবাগে কিছু কুচক্রী মহল আমাদের আন্দোলনকে তাদেরকে দিয়ে বিতর্কিত করতে সাংবাদিকদের ওপর হামলা করেছে। সাংবাদিকরা গত ৫ জুন থেকে নিরলসভাবে আমাদের দাবির পক্ষে কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এই হামলার নিন্দা জানাই এবং জড়িতদের শাস্তির দাবি জানাই।’

কর্মসূচি ঘোষণা করে আবু বাকের বলেন, ‘আগামীকাল (শনিবার) অনলাইন-অফলাইনে সব বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা জেলায় জেলায় সমন্বয়কদের মধ্যে প্রতিনিধি বৈঠক করা হবে এবং সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

এর আগে আজ বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ আন্দোলনের বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থী সংগঠিত হতে থাকেন। তারা ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শাহবাগে অবস্থান নিয়ে  ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, ‘লাঠি দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, ‘পুলিশ দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, ‘দালাল দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, ‘টোকাই দিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না, ‘ভয় দেখিয়ে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ‘দিয়েছি তো রক্ত, ভেসে যাবে অন্যায়’, ‘রক্তের বন্যায়, ভেসে যাবে অন্যায়, ‘আপস না সংগ্রাম? সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’' ‘দফা এক দাবি এক, কোটা নট কাম ব্যাক’, ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, ‘দালালি না রাজপথ? রাজপথ, রাজপথ, ‘কোটা প্রথার বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটা প্রথা, বাতিল চাই বাতিল চাই , - ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন ।

হাআমা/