জরুরি বৈঠক শেষে যা বললেন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা
প্রকাশ: ০৮ জুলাই, ২০২৪, ০৭:২৫ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যালয়ে হঠাৎ করেই জরুরি বৈঠকে বসেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সামছুন্নাহার চাঁপা এবং তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তারা।

সোমবার (৮ জুলাই) বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা না বলেই বেরিয়ে যান সেতুমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। তবে কী বিষয়ে আকস্মিক এই বৈঠক হয়েছে সে সম্পর্কে পরিষ্কার কোনো বক্তব্য দেননি বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। রাজনৈতিক, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে কথা বলেছি৷ এটা রুটিন একটা বিষয়।

কোটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটা বা দুইটা বিষয় নিয়ে নয়। আজকের বসার বিষয়টা আপনারা জেনেছেন, এই বসাটা নিয়মিত। আমরা নিয়মিতই বসি। বিভিন্ন জায়গায় বসা হয়।

শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। যে বিষয়গুলো আলোচনা করেছি, আসলে সেগুলো নিয়ে এই মুহূর্তে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলোচনার মতো বিষয় নয়।

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে, আমরা এ বিষয়ে এই মুহূর্তে কোনো মন্তব্য করব না। সেটা আদালতের বিষয়। আদালত থেকে যেভাবে সিদ্ধান্ত আসবে। আমাদের অবস্থান হচ্ছে, যেহেতু আদালতে যে বিষয়টি বিচারাধীন আছে সে বিষয়ে আমরা মন্তব্য করব না। অপেক্ষা করতে হবে। সরকার তো আপিল করেছে। সুতরাং আমি এ বিষয়ে মন্তব্য করব না।

এর আগে রোববার (৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, কোটার প্রশ্নে যে কথা বলা হচ্ছে, মেধাবী এবং কম মেধাবী নাকি জেলাভিত্তিক সেটা তো খুবই সাবজেক্টিভ বিষয়। একটা নির্দিষ্ট মানের মেধা ধারণ না করে কোনো শিক্ষার্থীর পক্ষে প্রাথমিক ধাপ অতিক্রম করা সম্ভব না, সেটা তো আমরা সবাই জানি। সে ক্ষেত্রে তার পরবর্তী ধাপ কীভাবে নির্ধারিত হবে, সেটা যেহেতু আদালতে পেন্ডিং আছে, সেটা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।

তিনি বলেন, যে কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে রাস্তায় দাঁড়িয়ে মন্তব্য করতে পারেন। কিন্তু দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে আদালতের জন্য অবমাননাকর কোনো বক্তব্য দেয়া আমার পক্ষে অবশ্যই সম্ভব নয়। কেননা, কোটার বিষয়টি উচ্চ আদালতে এখনও বিচারাধীন। এটি নিয়ে রায় না আসা পর্যন্ত মন্তব্য করা আমার পক্ষে আদালত অবমাননার শামিল।

এনএ/