ঈদের ছুটিতে যাত্রাপথে প্রাণ গেল ৪৮৮ জনের
প্রকাশ: ২৬ জুন, ২০২৪, ০৪:১৫ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ঈদুল আজহার ছুটিতে সড়ক, নৌ ও রেল পথে ৩৩৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ১ হাজার ৮৫০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি।

আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর পুরানা পল্টনে বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এ তথ্য তুলে ধরে। অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।

তিনি বলেন, এবারের ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ১ হাজার ৮৪০ জন আহত হয়েছেন। রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নৌপথে ছয়টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ৬ জন আহত ও ৬ জন নিখোঁজ হয়।

ঈদের আগে গত ১০ জুন থেকে ঈদ পরবর্তী ২৪ জুন পর্যন্ত ১৫ দিনের ঈদযাত্রা পর্যবেক্ষণ করে এ সব তথ্য জানা গেছে বলে উল্লেখ করেন যাত্রীকল্যাণ সমিতির মহাসচিব। তিনি জানান, ঈদে যাত্রীকল্যাণ সমিতির সদস্যরা বিভিন্ন জাতীয় গণমাধ্যম, পঙ্গু হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ সব তথ্য নিশ্চিত হয়েছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘পঙ্গু হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঈদের ১৪ দিনে হাসপাতালটিতে সর্বমোট ১ হাজার ৭৮ জন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন, তাদের মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা নিয়ে এসেছেন ৪৭৮ জন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এবারের ঈদে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পরিবহন ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষের কম যাতায়াত করেছে। বর্তমান সরকারের গত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। ঈদের আগে ৩ দিন সরকারি ছুটি থাকায় যাত্রী চাপ কিছুটা ভাগ হয়েছে। দেশে ঈদযাত্রায় মোট যাতায়াতের প্রায় ৭ থেকে ৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার তৎপরতা ছিল লক্ষণীয়। ছোট ছোট যানবাহন বিশেষ করে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ব্যাপকহারে বেড়েছে। কোনো কোনো সড়কে এসব যানবাহন হঠাৎ করে জাতীয় মহাসড়কে উঠে আসায় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।’

যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, ২০২৩ সালের ঈদুল আজহার সঙ্গে তুলনা করলে দেখা যায়, এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা বেড়েছে ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি বেড়েছে ৫৩.১৭ শতাংশ এবং দুর্ঘটনায় আহত বেড়েছে ২৩৮.২৩ শতাংশ। এসব দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা শীর্ষে রয়েছে।

কেএল/