জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ইমামকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি
প্রকাশ: ৩১ মে, ২০২৪, ০৫:২৬ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে অব্যাহতি দেওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম মো. ছালাহ্ উদ্দীনকে নামাজ পড়ানোর অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

আজ শুক্রবার (৩১ মে) ইমাম জুমার নামাজে তিনি ইমামতি করেছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আজ ওনাকে ডেকে নামাজ পড়াতে বলেছি। তিনি সহকারী ইমামের সঙ্গে অল্টারনেট করে নামাজ পড়াতে পারবেন। তবে ঘটনার তদন্ত চলমান থাকবে। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ইমাম ইস্যুতে একটি বিভ্রান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। তাই আমরা বিষয়টি স্পষ্ট করলাম। তদন্ত শুরু হওয়ায় মৌখিকভাবে ইমামকে নামাজ পড়ানো থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছিল। অব্যাহতি দেওয়া হয়নি।

ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক এ কে এম লুৎফর রহমানকে আহ্বায়ক এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক খালেদ সাইফুল্লাহকে সদস্যসচিব করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে ইমামকে অব্যাহতির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ মিছিল করেন।

মিছিলটি শান্ত চত্বর হয়ে বিজ্ঞান অনুষদ প্রদক্ষিণ করার সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বাধায় শেষ হয়ে যায়। এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাদের দাবির বিষয়ে কথা বলেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। 

এদিকে ইমামের অব্যাহতির বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ ও সমালোচনার ঝড় তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা বলছেন, মূল ঘটনার সূত্রপাত গত ১৭ মার্চ থেকে।  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকার মৃত্যুতে আত্মার মাগফেরাত কামনায় সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাহফিলে মসজিদের মিম্বরের পাশে নারী-পুরুষ সবাইকে এক সঙ্গে বসিয়ে বক্তব্য দিয়েছিলেন উপাচার্য সাদেকা হালিম। এ ঘটনার ছবি ভাইরাল হলে ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি করে। এ ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা ইমামকে প্রশ্ন করলে বক্তব্য দেন ইমাম সালাহ উদ্দিন। বক্তব্যে মসজিদে নারী-পুরুষ একত্রে বসা ইসলামি বিধানের লঙ্ঘন বলে মন্তব্য করেন তিনি। এরপর ইমামকে উপাচার্য দপ্তরে ডেকে নিয়ে তিরষ্কার করা হয়। এ ঘটনার জের ধরেই ইমামকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে বলে শিক্ষার্থীদের ধারণা।

হাআমা/