যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খোলার সময় এসেছে: মোদি
প্রকাশ: ১৬ মে, ২০২৪, ১০:২৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে হরহামেশাই অভিযোগ ওঠে যে তিনি ধর্ম ব্যবহার করে রাজনীতি করেন। এই অভিযোগ বেশি করে থাকেন তার বিরোধীরা। এর মধ্যেই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেছেন, যারা ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার সময় এসেছে।

বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না বলেও দাবি করেন তিনি। তার অভিযোগ, ৭৫ বছর ধরে দেশে বিভাজনের রাজনীতি করা হয়েছে। ভারতের একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মোদি এসব কথা বলেন।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, লোকসভা ভোটের প্রচারণার মাঝেই দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে কংগ্রেস শিবিরকে তুলোধনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি ও তুষ্টিকরণের রাজনীতির অভিযোগে কংগ্রেসের কড়া সমালোচনা করেছেন তিনি।

মূলত বুধবার মহারাষ্ট্রে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেখানেই প্রচারণার ব্যস্ত কর্মসূচির মাঝে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মোদি বলেন, কীভাবে ধর্মের ভিত্তিতে দেশভাগ করা হয়েছে, তা দেশবাসীকে বলার এটাই সেরা সময়। তারপর ৭৫ বছর ধরে দেশে বিভাজনের রাজনীতি করা হয়েছে।

কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ‘তুষ্টিকরণের’ রাজনীতি নিয়ে এর আগেও একাধিকবার সরব হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।

বুধবার দেওয়া ওই সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ধর্মনিরেপক্ষতার নামে ভোটব্যাংকের রাজনীতি, তুষ্টিকরণের রাজনীতি করা হয়েছে। এটা এখন স্পষ্ট। সেই জন্য ওরা ভয় পাচ্ছে। বিজেপি ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে না। সেটা বিজেপির পথ নয়। আমরা সংবিধানের ওপর আস্থা রাখি। কিন্তু এখন সময় এসেছে, যারা ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করে, তাদের মুখোশ খুলে দেওয়ার।’

ভারতের এই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এবারের ভোটের আসল ইস্যু হলো গত দশ বছরে বিজেপির কাজে মানুষের মনে সন্তুষ্টি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমজনতার এজেন্ডা আবকি বার ৪০০ পার, জনতার চাইছে, আরও একবার মোদি সরকার।

কেন্দ্রে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এলে ভারতকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণতি করা হবে, সে কথাও জানিয়েছেন মোদি। একইসঙ্গে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশকে বিকশিত ভারতের রূপ দেওয়ার ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

সূত্র: টিভি৯

এনএ/