ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ‘অত্যাধুনিক হামলা’র প্রস্তুতি হামাসের
প্রকাশ: ১১ মে, ২০২৪, ০৯:১৮ রাত
নিউজ ডেস্ক

গাজার সর্ব দক্ষিণের শহর রাফায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলা শুরু করে অগ্রসর হচ্ছে। তবে সেখানে ইসরায়েলি হামলা প্রতিহত করতে রাফায় ‘অত্যাধুনিক হামলা’র প্রস্তুতি নিচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুদ্ধ পর্যবেক্ষকদের তথ্যমতে- রাফায় অগ্রসর হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের দ্বারা শুরু করা অত্যাধুনিক আক্রমণ প্রমাণ করে যে- হামাস স্থল আক্রমণ প্রতিহতের জন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে।

ইনস্টিটিউট ফর স্টাডি অব ওয়ার (আইএসডব্লিউ) ও ক্রিটিকাল থ্রেটস প্রজেক্ট (সিটিপি) রিপোর্ট করেছে- শুক্রবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা রাফাতে ইসরায়েলি বাহিনীর উপর ‘তিনটি কৌশলগতভাবে অত্যাধুনিক আক্রমণ’ চালায়, তাতে ‘থার্মোবারিক বোমা, রকেট চালিত গ্রেনেড এবং এন্টি পারসোনাল রকেট’ ব্যবহার করা হয়।

আইএসডব্লিউ ও সিটিপি নামে দুটি মার্কিন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের প্রতিবেদন অনুসারে, হামাস বাহিনী ও সহ যোদ্ধারা শুক্রবার পূর্ব রাফায় ইসরায়েলি সৈন্যদের উপর ১৮টি হামলা চালায়।

থিঙ্ক ট্যাঙ্কগুলো বলেছে, হামাস যে আক্রমণ চালিয়েছে তার জন্য পরিকল্পনা, সমন্বয় ও সংগঠনের প্রয়োজন। তারা আরেও জোর দিয়ে বলেন, রাফায় হামাস ব্যাটালিয়নগুলোর সমন্বিত যুদ্ধ ইউনিট ইসরায়েলি ক্লিয়ারিং অপারেশনের বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা স্থাপন করতে পারে।

এদিকে হামাস শুক্রবার রাফা ও গাজা সিটিতে প্রতিরোধ জোরদার করেছে। তাদের পাল্টা আক্রমণে অন্তত চার ইসরায়েলি সৈন্য নিহত হয়েছে এবং আরও কয়েকজন আহত হয়েছে।

হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেডে যুদ্ধক্ষেত্রের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, তারা ইসরায়েলি সৈন্যদের ওপর গুপ্তহামলা চালিয়েছে। তারা অ্যান্ট-আর্মার ক্ষেপণাস্ত্র এবং বেশ কয়েকটি স্বল্প পাল্লার রকেট দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী শুক্রবার সকালে জানায়, তাদের সৈন্যরা রাফায় হাতাহাতি যুদ্ধ করছে। তারা বেশ কয়েকজন বন্দুকধারীকে হত্যার দাবিও করে। পরে তারা স্বীকার করে- জয়তুন এলাকায় একটি বিস্ফোরণে তাদের চার সৈন্য নিহত হয়েছে। এর ফলে গাজায় স্থল হামলা শুরুর পর নিহত ইসরায়েলি সৈন্যের সংখ্যা দাঁড়াল ২৭১ জনে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ভয়াবহ আগ্রাসন ও গণহত্যা শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। এর থেকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র: আল-জাজিরা

এনএ/