মিল্টন সমাদ্দারকে সহযোগিতা করেছে কারা, আমরা বের করব: ডিবির হারুন
প্রকাশ: ০৯ মে, ২০২৪, ০৬:২০ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

নানা অনিয়ম ও প্রতারণার অভিযোগ গ্রেপ্তার হওয়া চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ারের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারকে যারা সহযোগিতা করেছে, সেসবও বের করা হবে বলে জানালেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।

হারুন অর রশীদ বলেন, ‘৯০০ লাশ দাফন করা হয়েছে এমন ভিডিও মিল্টন মানুষের সহানুভূতি ও টাকার জন্য করেছে। আমরা তার কাছে ৯০০ লাশ কোথায় কবর দেওয়া হয়েছে, সেটি জানতে চেয়েছি। পরে সে নিজের মুখে ১৩৫টি লাশ দাফনের কথা স্বীকার করেছে, কিন্তু সেসব লাশের ব্যাপারেও কোনো ধরনের প্রমাণপত্র দেখাতে পারেনি। এগুলো আমরা আরও তদন্ত করব।’

তিনি বলেন, ‘অনাথ-অসহায় মানুষের এসব ভিডিও ফেসবুকে দিয়ে সে মানুষের বিবেকে নাড়া দেওয়ার চেষ্টা করেছে। আর মানুষজনও তাকে বিশ্বাস করে বিকাশ-নগদের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়েছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, এই আশ্রমে কোনো ডাক্তার সে রাখেনি। উল্টো সে নিজেই বিভিন্ন অপারেশন করত। তখন মানুষজন আর্তনাদ করলে সে পৈশাচিক আনন্দ উপভোগ করত। সবকিছুই আমরা বের করেছি। আমাদের আরও কিছু তথ্য জানার বাকি আছে। প্রয়োজনে তাকে আবারও রিমান্ডে আনব।’

ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘সমাজে এ ধরনের কাজ আরও যারা করছেন তাদের ব্যাপারেও আমরা খোঁজ-খবর নিচ্ছি। আমরা দেখেছি মানুষের কাছ থেকেই কোটি কোটি টাকা এনে নিজের অ্যাকাউন্টে রেখে দিয়েছে। কারা তাকে সহযোগিতা করেছে, সেসব বিষয়ও আমরা বের করব।’

মিল্টন সমাদ্দারের এসব কর্মকাণ্ডে তার স্ত্রীর কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে কি না, জানতে চাইলে হারুন বলেন, ‘প্রয়োজন বোধে তার স্ত্রীকে আবারও আমরা জিজ্ঞাসার জন্য ডাকব।’

এর আগে, মানবপাচার আইনের মামলায় চারদিনের রিমান্ড শেষে আজ দুপুরে মিল্টন সমাদ্দারকে আদালতে হাজির করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছে ডিবি পুলিশ। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

হাআমা/