আল-জাজিরার অফিসে ইসরায়েলি পুলিশের অভিযান, ভাঙচুর
প্রকাশ: ০৬ মে, ২০২৪, ১১:১৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ইসরায়েলে আল-জাজিরা টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে নেতানিয়াহুর সরকার। রোববার সংবাদ সংস্থাটিকে হামাসের মুখপত্র আখ্যা দিয়ে এর কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। এর আগে একই দিন কাতারভিত্তিক সম্প্রচারমাধ্যমটি বন্ধে সর্বসম্মতিক্রমে ভোট দেয় বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভা। 

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার জেরুজালেমের অ্যাম্বাসেডর হোটেলে কাতারি সম্প্রচার মাধ্যমের অফিসে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ। 

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে আল-জাজিরা বলেছে, আল-জাজিরাকে ইসরায়েলি নিরাপত্তার জন্য হুমকিস্বরূপ দেখানো ‘বিপজ্জনক এবং ডাহা মিথ্যা।’ চ্যানেলটি বলেছে, প্রতিটি আইনি পদক্ষেপ অনুসরণ করার অধিকার তাঁদের রয়েছে। 

ইসরায়েলের যোগাযোগ মন্ত্রী শ্লোমো কারহি বলেছেন, অভিযানে আল-জাজিরার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। এক্সে (সাবেক টুইটার) শ্লোমো কারহির করা এক পোস্টে দেখা গেছে, যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের পুলিশ অফিসার এবং ইন্সপেক্টররা একটি হোটেল রুমে প্রবেশ করছেন। আল জাজিরার সূত্র বলেছে, হোটেলটি পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত। অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে সেটি ব্যবহার করে আল-জাজিরা।

বিবিসির একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু পুলিশ তাদের ছবি তুলতে ও হোটেলে প্রবেশ করতে দেয়নি। 

রয়টার্সের মতে, ইসরায়েলি স্যাটেলাইট সার্ভিস ‘ইয়েস’ একটি বার্তা প্রদর্শন করেছে। যাতে লেখা ছিল, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ইসরায়েলে আল-জাজিরা স্টেশনের সম্প্রচার বন্ধ করা হয়েছে। 

ইসরায়েলে আল-জাজিরার কার্যক্রম এখনো পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়নি। দেশটিতে এখনো ফেসবুকে আল-জাজিরা সক্রিয় রয়েছে। 

ইসরায়েল সরকারের এই সিদ্ধান্তকে একটি ‘অপরাধমূলক কাজ’ হিসাবে নিন্দা জানিয়েছে আল­-জাজিরা। একই সঙ্গে সতর্ক করেছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করে ইরায়েল ‘আন্তর্জাতিক ও মানবিক আইনের লঙ্ঘন’ করেছে। 

আল-জাজিরা রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘মানবাধিকার এবং তথ্য জানার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘনকারী ইসরায়েলের এই অপরাধমূলক কাজের তীব্র নিন্দা জানায় আল জাজিরা মিডিয়া নেটওয়ার্ক। আল-জাজিরার বিশ্বব্যাপী শ্রোতাদের কাছে সংবাদ এবং তথ্য সরবরাহের অধিকার রয়েছে।’

এনএ/