তীব্র গরমে বাড়ছে চর্মরোগ, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা
প্রকাশ:
২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:১৫ সকাল
নিউজ ডেস্ক |
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। খুলনাসহ বিভাগের কয়েকটি জেলায় এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চর্মরোগ ও পেটে অসুখ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। গরমে সব ধরনের রোগ বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমকালে সব ধরনের রোগ বাড়ে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, গরমে মানুষের অসচেতন জীবনযাত্রা বাড়ে। কোমল পানীয়ের অধিক ব্যবহার, রাস্তার ধারের পানীয় পান ও খালি গায়ে থাকায় মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া গরমে ঘামাচি ও ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। ঘাম ও ভেজা শরীর ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। ছত্রাকজনিত চর্মরোগ প্রধানত দাউদ, তুলি ও ক্যানডিডিয়াসিস। এ ছত্রাক প্রজাতির সবই ত্বকের বাইরের অংশে সংক্রমণ হয়। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) ও শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগে রোগীদের ভিড় বেড়েছে। খুমেক হাসপাতালে অধিক হারে আসছে চর্মরোগী। অন্য স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেড়েছে চর্মরোগী। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. হুসাইন সাফায়েত বলেন, খুলনায় গরমের তীব্রতা বেড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে এখন তাপমাত্রা অনেক। ঘামাচি থেকে শুরু করে সংক্রামক চর্মরোগী এ গরমে বাড়ছে। সাধারণ সময়ের চেয়ে প্রায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ চর্মরোগী বেড়েছে। তিনি বলেন, এই গরমে কমপক্ষে দুই বার গোসল করতে হবে, ঘাম মুছে ফেলতে হবে, সাবান বা শ্যাম্পু লাগাতে হবে, শরীর পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে। খুমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌনরোগ বিভাগ সূত্রে জানিয়েছে, চর্মরোগ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। গরম ছাড়াও বছরের অন্য সময়ও এ রোগীর সংখ্যা বাড়ে। প্রতিদিন হাসপাতালের বহির্বিভাগে চর্মরোগীদের লম্বা লাইন দেখা যায়। এই হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে মানুষের শরীর থেকে রক্তের জলীয় অংশ বিশেষত ফ্লুয়িড এবং খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে মানুষের ভলিউম কমে যায় এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে আসে। পরে তা শরীরে উপদ্রব সৃষ্টি করে লাল হয়, যেটাকে আমরা ঘামাচি হিসেবে জানি। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও সংক্রামকসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে দেখি। যার কারণে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে খারাপ বা বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে আসে। এটি যদি শরীরে অনেকক্ষণ চামড়ার ওপর জমে থাকে তাহলে চামড়ায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ জন্য গরমে ঠান্ডা স্থানে থাকতে পারলে ভালো। অন্যথায় যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে এরকম ভেন্টিলেশন যুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বেশি ঘেমে গেলে সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে শরীরকে শুষ্ক রাখতে হবে। তা না হলে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস জাতীয় চর্মরোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি অনেকের চর্মরোগও দেখা যাচ্ছে। এ সময়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের যেন ঘাম থেকে কোনোভাবে ঠান্ডা বা গরম না লাগে। ঘাম বসে যেয়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। শিশুদের ঠাণ্ডা জায়গায় রাখতে হবে। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ওষুধের এখন কার্যকারিতা কমেছে। এ জন্য গরমকালে চর্মরোগ প্রতিরোধ করা নিরাময় থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। খুলনাসহ বিভাগের কয়েকটি জেলায় এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চর্মরোগ ও পেটে অসুখ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। গরমে সব ধরনের রোগ বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমকালে সব ধরনের রোগ বাড়ে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, গরমে মানুষের অসচেতন জীবনযাত্রা বাড়ে। কোমল পানীয়ের অধিক ব্যবহার, রাস্তার ধারের পানীয় পান ও খালি গায়ে থাকায় মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া গরমে ঘামাচি ও ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। ঘাম ও ভেজা শরীর ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। ছত্রাকজনিত চর্মরোগ প্রধানত দাউদ, তুলি ও ক্যানডিডিয়াসিস। এ ছত্রাক প্রজাতির সবই ত্বকের বাইরের অংশে সংক্রমণ হয়।
তিনি বলেন, এই গরমে কমপক্ষে দুই বার গোসল করতে হবে, ঘাম মুছে ফেলতে হবে, সাবান বা শ্যাম্পু লাগাতে হবে, শরীর পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এই হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে মানুষের শরীর থেকে রক্তের জলীয় অংশ বিশেষত ফ্লুয়িড এবং খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে মানুষের ভলিউম কমে যায় এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে আসে। পরে তা শরীরে উপদ্রব সৃষ্টি করে লাল হয়, যেটাকে আমরা ঘামাচি হিসেবে জানি। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও সংক্রামকসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে দেখি। যার কারণে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে খারাপ বা বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে আসে। এটি যদি শরীরে অনেকক্ষণ চামড়ার ওপর জমে থাকে তাহলে চামড়ায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ জন্য গরমে ঠান্ডা স্থানে থাকতে পারলে ভালো। অন্যথায় যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে এরকম ভেন্টিলেশন যুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বেশি ঘেমে গেলে সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে শরীরকে শুষ্ক রাখতে হবে। তা না হলে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস জাতীয় চর্মরোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি অনেকের চর্মরোগও দেখা যাচ্ছে। এ সময়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের যেন ঘাম থেকে কোনোভাবে ঠান্ডা বা গরম না লাগে। ঘাম বসে যেয়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। শিশুদের ঠাণ্ডা জায়গায় রাখতে হবে। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ওষুধের এখন কার্যকারিতা কমেছে। এ জন্য গরমকালে চর্মরোগ প্রতিরোধ করা নিরাময় থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে বৈশ্বিক তাপমাত্রা। খুলনাসহ বিভাগের কয়েকটি জেলায় এখন তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে। এ অবস্থায় হাসপাতালগুলোতে চর্মরোগ ও পেটে অসুখ নিয়ে ভর্তি হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা। গরমে সব ধরনের রোগ বেড়েই চলেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গরমকালে সব ধরনের রোগ বাড়ে। কারণ হিসেবে তারা বলেন, গরমে মানুষের অসচেতন জীবনযাত্রা বাড়ে। কোমল পানীয়ের অধিক ব্যবহার, রাস্তার ধারের পানীয় পান ও খালি গায়ে থাকায় মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। এ ছাড়া গরমে ঘামাচি ও ছত্রাকজনিত চর্মরোগ বেশি দেখা যায়। ঘাম ও ভেজা শরীর ছত্রাক জন্মানোর জন্য উপযোগী। ছত্রাকজনিত চর্মরোগ প্রধানত দাউদ, তুলি ও ক্যানডিডিয়াসিস। এ ছত্রাক প্রজাতির সবই ত্বকের বাইরের অংশে সংক্রমণ হয়।
তিনি বলেন, এই গরমে কমপক্ষে দুই বার গোসল করতে হবে, ঘাম মুছে ফেলতে হবে, সাবান বা শ্যাম্পু লাগাতে হবে, শরীর পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করতে হবে।
এই হাসপাতালের সাবেক উপ-পরিচালক ডা. বিধান চন্দ্র ঘোষ বলেন, গরমে অতিরিক্ত ঘামের ফলে মানুষের শরীর থেকে রক্তের জলীয় অংশ বিশেষত ফ্লুয়িড এবং খনিজ পদার্থ বেরিয়ে যায়। এতে মানুষের ভলিউম কমে যায় এবং শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বেরিয়ে আসে। পরে তা শরীরে উপদ্রব সৃষ্টি করে লাল হয়, যেটাকে আমরা ঘামাচি হিসেবে জানি। এ ছাড়া আরও অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস ও সংক্রামকসহ নানা ধরনের চর্মরোগ হতে দেখি। যার কারণে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে খারাপ বা বর্জ্য পদার্থ বের হয়ে আসে। এটি যদি শরীরে অনেকক্ষণ চামড়ার ওপর জমে থাকে তাহলে চামড়ায় নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এ জন্য গরমে ঠান্ডা স্থানে থাকতে পারলে ভালো। অন্যথায় যেখানে পর্যাপ্ত আলো-বাতাস থাকে এরকম ভেন্টিলেশন যুক্ত স্থানে থাকার চেষ্টা করতে হবে। বেশি ঘেমে গেলে সাবান অথবা শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করে শরীরকে শুষ্ক রাখতে হবে। তা না হলে ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাস জাতীয় চর্মরোগের সংক্রমণ ঘটতে পারে। খুলনা শিশু হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. কামরুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত গরমের কারণে শিশুদের সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ার পাশাপাশি অনেকের চর্মরোগও দেখা যাচ্ছে। এ সময়ে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। শিশুদের যেন ঘাম থেকে কোনোভাবে ঠান্ডা বা গরম না লাগে। ঘাম বসে যেয়ে বিভিন্ন রোগ দেখা দিতে পারে। শিশুদের ঠাণ্ডা জায়গায় রাখতে হবে। তাদের প্রতি বিশেষ যত্ন নিতে হবে। চিকিৎসকরা বলছেন, ব্যাকটেরিয়া বা ফাঙ্গাসের বিরুদ্ধে বেশিরভাগ ওষুধের এখন কার্যকারিতা কমেছে। এ জন্য গরমকালে চর্মরোগ প্রতিরোধ করা নিরাময় থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ। টিএইচএ/ |