গীবত সম্পর্কে যা বললেন মুফতি তাকি উসমানি
প্রকাশ: ২০ মার্চ, ২০২৪, ০৫:০৮ সকাল
নিউজ ডেস্ক

গীবত সম্পর্কে রমজানে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করেছেন বিশ্বের প্রখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও জামিয়া দারুল উলুম করাচীর মুহতামিম মুফতি তাকি উসমানি।

তিনি বলেন- জিহবার দ্বিতীয় গুনাহ হলো এই যে, কোন লোকের আড়ালে-অনুপস্থিতিতে তার সম্পর্কে এমন কথা বলা, যে কথায় সে অসন্তুষ্ট হয়। এটাকে গীবত বলে। লোকজন বলে থাকে যে, ভাই। আমি তো কথাটা তার মুখের ওপর বলে দিতে পারবো। আরে ভাই। মুখের ওপর দোষ-ত্রুটি ধরলেই ভালো কি আর করলেন? অবশ্য এটা ঠিক যে, মুখের ওপর দোষ-ত্রুটি ধরলে বদলাও পেয়ে যাবেন।

 সেই ব্যক্তি আপনাকে কোন খারাপ কথা বলে দিবে অথবা নিজের মধ্যের সেই দাগ মুছে ফেলবে। আড়ালে মন্দ কথা বলা তো শূন্যের মধ্যে আঘাত করার নামান্তর। মনে রাখবেন, অপরের মালের মূল্য ও সম্মান যেমন, তেমনি শুধু নয়, তার চেয়েও অধিক সম্মান হলো তার ইজ্জতের।

লক্ষ্য করে দেখুন, ইজ্জতের ওপর যখন আঘাত আসে, তখন ধনসম্পদ আর কী জিনিস-জানের পর্যন্ত পরোয়া থাকে না। অতএব অপরের ধনসম্পদের উপরই যখন হস্তক্ষেপ করা জায়েয নেই, তখন তার ইজ্জত-আব্রুর উপর হস্তক্ষেপ করা কিভাবে জায়েয হতে পারে!।

কিন্তু গীবত বর্তমানে এতই ব্যাপক হয়ে গেছে যে, জানাও থাকে না কথাবার্তার মাঝে কোন গীবত হয়ে গেলো কিনা। এ থেকে বাঁচার উপায় শুধু এটাই যে, কারো ভালো কিংবা মন্দ কিছুই না বলা। কেননা যদি কারো গুণাবলীও বর্ণনা করতে থাকেন, শয়তান অন্যজনের দোষ বর্ণনা পর্যন্ত পৌঁছে দিবে।

বর্ণনাকারী ভাবছে আমি তো গুণাবলী আলোচনা করছি, অথচ অপরের দোষ ও মন্দ আলোচনার মিশ্রণ ঘটে যাওয়ায় সেই গুণাবলীর আলোচনাও, ভালোর বর্ণনাও ইচ্ছা-অনিচ্ছায় মন্দ বর্ণনার সমান হয়ে গেলো। আরে ভাই। আপনার জন্য তো আপনার কাজই অগ্রাধিকারযোগ্য, প্রথমে সেটাই করুন। অন্যের পিছনে যাওয়ার আপনার কী দরকার। তাছাড়া গীবতের মাঝে গুনাহ হওয়া ছাড়া অন্য কোন মজাও তো নেই; উপরন্তু দুনিয়াতেও রয়েছে ক্ষতি। কারণ, যখন অপর ব্যক্তি গীবত করার কথা শুনবে, তখন শত্রুতার সৃষ্টি হবে। এরপর আপনি নিজেই বুঝে নিন-এর কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে?

এভাবেই জিহ্বার বহু গুনাহ রয়েছে। সবগুলো থেকেই বেঁচে থাকা জরুরি। রোজার সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কিত আরেকটি গুনাহ রয়েছে। সেটি হলো, হারাম মাল দ্বারা রোজার ইফতার করা।

এনএ/