ইমাম-উলামা পরিষদ ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কমিটি পূনর্গঠন ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশ: ১৭ মার্চ, ২০২৪, ০৪:২৭ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন প্রায় ৪২ টি মসজিদের ইমাম, খতীব, মুয়াজ্জিন সাহেবান ও সাধারণ উলামায়ে কেরামকে নিয়ে আর্থসামাজিক ও দ্বীনি কল্যাণ কামনার সুতীব্র ভাসনা নিয়ে ২০১৯ সালে সংগঠনের পথযাত্রা শুরু হয়।

গেল ২৬ ফেব্রুয়ারী -২৪ তারিখে মাওলানা ইসমাঈল খানকে সভাপতি ও মুফতী শাহাদত হুসাইন আরিফকে সেক্রেটারি করে তিন বছর মেয়াদী ৫১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটির পূনর্গঠন করা হয়৷ সামাজিক ও দ্বীনি কর্মতৎপরতার অংশ হিসেবে গতকাল ৫ রমজান সংগঠনটি 'তাকওয়া ভিত্তিক সুষ্ঠু সমাজ গঠনে মসজিদ সমূহের ভূমিকা শীর্ষক একটি আলোচনাসভার আয়োজন করে। এতে ক্যান্টনমেন্টের ৩০ টি মসজিদের সভাপতি, সেক্রেটারি ও কেশিয়ারসহ ১২০জন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশ নেন।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে তাশরিফ রাখেন বিশিষ্ট লেখক ও সমাজচিন্তক মাওলানা আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম। প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি বলেন; চলমান বিধ্বস্ত সময়ে মানুষের আত্মিক ও সামাজিক উন্নয়নের জন্য মসজিদের আলো পুরো সমাজে ছড়িয়ে দেওয়া ছাড়া কোন বিকল্প নাই। কিশোর গ্যাং, মাদক সেবন, নারী উত্তেক্ত ইত্যাদি নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে আমরাও আমাদের সমাজকে বাঁচাতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে মসজিদের আলোয় উদ্ভাসিত হতে হবে। কমিটির দায়ীত্বশীলগণ ইমাম খতীবগণকে ইসলামের আলো সমাজে নির্বিঘ্নে ছড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।

এর আগে হাফেজ অলিউর রহমানের তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া আলোচনা সভায় পরিষদের সহসভাপতি মুফতী কামরুল হাসান রব্বানী বলেন, সুষ্ঠু সমাজগঠনের জন্য প্রথমেই আমাদের নিজেদেরকে সুষ্ঠু হয়ে ওঠতে হবে এবং ব্যক্তিগত পরিশুদ্ধি লাভের ঠিকানা হিসেবে মসজিদ একটি আদর্শ জায়গা।

বিকেল ২ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে সারে চারটায় সমাপ্ত হওয়া আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা পেশ করেন পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি মুফতী অসিউর রহমান, সহসভাপতি মুফতী আখতারুজ্জামান হাফেজী।

আলোচকেরা আত্মশুদ্ধির মাস পবিত্র রমজানুল মোবারকে তাকওয়া ভিত্তিক সুষ্ঠু সমাজ গঠনের রূপরেখা তুলে ধরে মসজিদের দায়ীত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে সেগুলো অনুসরণ করত: একটি সুষ্ঠু সুন্দর ও আদর্শ সমাজ গড়ে তোলবার উদাত্ত আহবান জানান।

পরিষদের সেক্রেটারি জেনারেল মুফতী শাহাদাত হুসাইন আরিফির সঞ্চালনায় সভাপতির বক্তব্য পেশ করেন নবগঠিত কমিটির মুহতারাম সভাপতি মাওলানা ইসমাইল খান।

তিনি তার ভাষণে বলেন; ইসলাম মানুষকে সুখ শান্তি ও সম্ভৃদ্ধির পথ দেখায়। আফসোস আমরা ইসলামের শিক্ষাকে পাশ কাটিয়ে চলে দিনদিন কঠিন থেকে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছি। এই তিক্ত বাস্তবতাকে সামনে রেখে ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মসজিদ সমূহের ইমাম, খতীব ও মুয়াজ্জিন সাহেবান সমাজ বদলের সুতীব্র আকাঙ্খা নিয়ে উলামায়ে কেরামের একটি ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম গড়ে তোলবার প্রয়াস চালাচ্ছেন যেখান থেকে সমাজিক অসঙ্গতি তুলে ধরে এর সুষ্ঠু সমাধানের রূপরেখা তুলে ধরা হবে।

তিনি আরো বলেন সমাজিক সুষ্ঠুতা, নিরাপত্তা ও উন্নয়নে ইসলামের যে রূপরেখা উলামায়ে কেরামের পেশ করবেন, আপনারা যদি সেগুলো বাস্তবায়নে এগিয়ে আসেন তাহলে আশা করা যায় খুব অল্পদিনেই ক্যান্টনমেন্ট একটি মাদকমুক্ত, কিশোর গ্যাং বিহীন সুষ্ঠু সুন্দর সমাজ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে।

তিনি মসজিদ কমিটির সম্মানিত দায়ীত্বশীলদের প্রতি তাকওয়া ভিত্তিক সুষ্ঠু সমাজ গঠনে নিজের ভুমিকা রাখবার অনুরোধ জানিয়ে তার ভাষণ সমাপ্ত করেন। পরিশেষে দেশ জাতীর নিরাপত্তা সম্ভমদ্ধি কানা করে মুনাজাত পরিচালনা করেন সভার প্রধান মেহমান শায়খুল আবুল বাশার মুহাম্মাদ সাইফুল ইসলাম।

হাআমা/