ইলম নিয়ে ছড়িয়ে পড়তে হবে দাওয়াতি ময়দানে
প্রকাশ:
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ০৩:৪১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
|| ইবরাহিম দেওলা, ভারত || উলামাদের উদ্দেশে খাস বয়ান- মুহতারাম হাজেরিন! ইলমে দীন নবুয়তের ওরাসাত, এটা যে তা গ্রহণ করবে তার জন্য এটা নেয়ামত। আমরা যখন কোনো জিনিসের মূল্য বুঝি তখন সেটার হেফাজত করি, যেমন স্বর্ণ-রূপা, এগুলোর মূল্য সবার জানা। তাই এগুলোর হেফাজতও করা হয় যত্ন সহকারে। এই ঈমান ও ইলম এগুলোর চেয়ে বহুত দামি জিনিস। ঈমান ও ইলমের হেফাজত আর বেশি থেকে বেশি করা উচিত। মুহতারাম উলামায়ে কেরাম! ভাই নিজেকে আমরা সবাই ইলমের তাবে বানাই। কোনো নবী এই ইলম থেকে আজাদ হয় নাই। যেহেতু আমাদেরও এই মিরাস মিলেছে, তাই সবচেয়ে বেশি আল্লাহকে ভয় পেতে হবে আলেমদের । সবচেয়ে বেশি গোনাহ থেকে বাঁচতে হবে তাদের। সবচেয়ে বেশি নেক আমল করতে হবে আলেমদের। নবীরাও সবচেয়ে বেশি আল্লাহভীরু। সবচেয়ে বেশি নেক আমলকারী ছিলেন। তাই ভাই, আমরা নিজেদের ইলমের তাবে বানাব। এই ইলমের তাকাজা আমাদের আদায় করতে হবে। এক তাকাজা তো হলো ইলমের তাবে বানানো নিজেকে। আরেক হলো নিজে শিক্ষা করে অন্যকে শিক্ষা দেওয়া। মুহতারাম দোস্ত! মুহতারাম হাজেরিন! যে যেই পেশায় আছে সে সেই পেশার শরয়ি বিধান জানতে হবে। যে শিকার করে সে শিকারের শরয়ি বিধান জেনে নেবে। যে ব্যবসা করে সে ব্যবসার শরয়ি বিধান জেনে নেবে। যে চুল কাটবে সে চুল কাটার শরয়ি বিধান জেনে নেবে। এটাই হলো মাকসাদ। তো ভাই! লোকজনকে এর উপর উঠানো, যে যেই পেশায় আছে তাকে তার পেশার বিষয়ে শরয়ি বিধান জানানো। শুধু ঈমান আর ৬ নাম্বার ইলমের তাকাজা না ভাই। ইলম নিয়ে বসে থাকার জিনিস না। এটাকে নিয়ে হরকত করতে হবে। তো মেরে ভাই! এই ইলমকে নিয়ে হরকত করতে হলে আলেমদের যাদের সম্ভব এক সালে বের হতে হয়। তা সম্ভব না হলে চার মাসের জন্য সকলেই তৈরি হয়ে যাই ইনশাআল্লাহ। অনুলিখন ও তরজমা: মুফতি রাহাত জামিল কেএল/ |