জাতীয় হিফযুল কুরআন প্রতিযোগিতার গ্র্যান্ড ফিনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:৫৬ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

|| কাউসার লাবীব ||

আলোকিত মানুষের সন্ধানে হিফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো দেশব্যাপী আয়োজিত জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর গ্র্যান্ড ফিনাল ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। 

শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সাভারের আশুলিয়া এস.এস.আর. স্কুল অ্যান্ড কলেজ অডিটোরিয়ামে সকাল ৮টা থেকে ৭ শতাধিক প্রতিযোগী নিয়ে শুরু হয় প্রতিযোগিতাটির গ্র্যান্ড ফিনালের বাছাই পর্ব। সেখান থেকে উত্তীর্ণ ৪২জন প্রতিযোগী নিয়ে (৫ পারা ও ১০ পারা) দুই বিভাগে অনুষ্ঠিত হয় বহুল প্রতীক্ষিত গ্যান্ড ফিনাল। স্বনামধন্য বিজ্ঞ বিচারকদের সুনিপুনের বিচারকার্যে ১০ পারা বিভাগে রাফসান মাহমুদ প্রথম স্থান, সালিম রহমান দ্বিতীয় স্থান এবং মো. আবরার আল কারীম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এছাড়া ৫ পারা বিভাগে রাহাত হোসেন প্রথম স্থান , আব্দুল্লাহ আল জাওয়াদ দ্বিতীয় স্থান এবং তাওহিদুল ইসলাম তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। বিজয়ীদের মাঝে তুলে দেওয়া হয় নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট। এছাড়া গ্র্যান্ড ফিনালে অংশগ্রহণ করা সবাইকেই দেওয়া হয় শান্তনা পুরস্কার।

জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ছিলেন বিজিএমইএ’র পরিচালক জনাব মিজানুর রহমান। এছাড়া উদ্বোধক হিসেবে জিহান গ্রুপের এম.ডি. শেখ বাবুল আক্তার জাহিদ, প্রধান অতিথি হিসেবে শ্রাবনী নীটওয়্যার লি. এর এম.ডি ইঞ্জিনিয়ার মো. বেলায়েত হোসেন রিপন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকার জামিয়া শরিফিয়া লালবাগের শাইখুল হাদিস মুফতি আরিফ বিন হাবিব। বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা হুসাইন আহমাদ ইসহাকী, আওয়ার ইসলাম সম্পাদক মুফতি হুমায়ুন আইয়ুব ও হিফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মুফতি নুরুল আলম ইসহাকী।

হিফজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের চেয়াম্যান হাফেজ মাওলানা মুফতি হুমায়ুন সাঈদ জানান, ধারবাহিকভাবে তিন বছর ধরে আমরা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার আয়োজন করলাম। আমরা সর্বোচ্চ নিরপেক্ষ থেকে বিশ্বস্ততার সঙ্গে প্রতিযোগিতাগুলো আয়োজন করেছি। বাংলার ঘরে ঘরে কুরআনের আলো পৌছানো এবং আমাদের সন্তানদের প্রতিভা বিশ্বব্যাপী জানান দিতেই এই আয়োজন। মহতি এই আয়োজনে শুরু থেকে এ পর্যন্ত যারা যেভাবে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এ বছর ১০ পারা এবং ৫ পারা গ্রুপের প্রতিযোগিতার আমরা আয়োজন করেছি। আমাদের ইচ্ছে আগামীতে এই প্রতিযোগিতা ৩০ পারা গ্রুপেও আয়োজন করা। সবার কাছে দোয়া চাই।

সংস্থার মহাসচিব হাফেজ কারী মো. কামরুজ্জামান জানান, তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত এই হিফজুল কুরআন কুরআন প্রতিযোগিতায় প্রায় ২০ হাজার প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেন। গত চার মাসে দেশব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় ৩৪টি অডিশন। সেখান থেকে গ্র্যান্ড ফিনালের বাছাইয়ের জন্য নির্বাচিত হোন সাত শতাধিক প্রতিযোগী। তাদের মাঝ থেকে সেরাদের হাতে পুরস্কার তুলে দিতে পেরে ভালো লাগছে।

কেএল/