অবরোধ আতঙ্কে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকেরা
প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর, ২০২৩, ০৭:৩৪ সকাল
নিউজ ডেস্ক

 

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে এখন চলছে পর্যটনের ভরা মৌসুম। এরমধ্যেই সারাদেশব্যাপী টানা  তিন দিনের সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত।

অবরোধে কি হতে পারে সেই আতঙ্কে কক্সবাজার ছাড়ছেন পর্যটকরা। হরতালের পর হাতে গোণা কয়েকজন পর্যটক থাকলেও সর্বাত্মক  অবরোধ ঘোষণার পর তারাও সোমবার (৩০অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকে কক্সবাজার ছাড়া শুরু করেন। এতে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন এ শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।

পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মতে,  প্রতিবছর পর্যটন মৌসুমে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির, ইনানী সৈকত, মহেশখালীর আদিনাথ মন্দির ও প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন পর্যটকের পদচারণায় মুখর থাকে।  কিন্তু এ বছর হরতাল ও অবরোধে নাশকতার আশঙ্কায় এসব পর্যটন কেন্দ্রে কার্যত শূন্য পড়ে আছে। সোমবার রাত ১০টার দিকে কলাতলী ডলফিন মোড়ে গিয়ে দেখা যায়, বাস কাউন্টার গুলোতে ভীড়। ঢাকামুখী যাত্রীদের সংখ্যা ছিল বেশি।

শাহাদাৎ সাজু নামক ঢাকার এক বাসিন্দা বলেন, ‘পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছিলাম। সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু অবরোধের কথা শুনে ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি। দেশের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে ভালো না। তৌহিদ নামের অপর এক পর্যটক বলেন, ‘কাল (আজ) থেকে অবরোধ। এরপর আবারো নতুন করে কর্মসূচি আসতে পারে । গাড়ি চলাচল করবে না। তাই চলে যাচ্ছি। পূরবী ট্রাভেলস নামক পরিবহনের চালক গতকাল বলেন, এখন ঢাকার যাত্রী বেশি। আজ (সোমবার) ৫টি গাড়ি ঢাকার উদ্দেশ্য যাওয়ার কথা থাকলেও অতিরিক্ত যাত্রী থাকায় গাড়ি বাড়ানো হয়েছে।

হোটেল কক্স টুডের ম্যানাজার আবু তালেব বলেন, হরতালের পর যে অল্প সংখ্যক পর্যটক ছিলেন তারাও চলে যাচ্ছেন। পর্যটক মৌসুম মাত্র শুরু। এ সময়ে হরতাল অবরোধের কারণে আমাদের বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে। এদিকে বিএনপি-জামায়াতসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা রোববার (২৯ অক্টোবর) সকাল-সন্ধ্যা হরতালকে কেন্দ্র করে কক্সবাজারে পৃথক ৫টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। হরতাল ও তার পরবর্তী নাশকতা, সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টার দায়ে পুলিশ বাদী হয়ে কক্সবাজারের ৪টি থানায় এসব মামলা দায়ের করেছে। যেখানে বিএনপি ও জামায়াতের ৬০-৬৬ জন নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ্য করে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হলেও; সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম জানান, আন্দোলন রাজনৈতিক অধিকার। তবে হরতালের নামে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। মানুষের জানমালের ক্ষতি হবে এমন কিছু মেনে নেওয়া হবে না। শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় মাঠে পুলিশের সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থান থাকবে।

এমআই/