গাজা শহরের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক সংঘাত
প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৩, ০৫:৪৯ বিকাল
নিউজ ডেস্ক

গাজা উপত্যকার মূল শহরের আশপাশের এলাকায় হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ব্যাপক সংঘাত চলছে ইসরায়েলের স্থল বাহিনীর। দু-পক্ষের সংঘাতে বন্ধ হয়ে গেছে গাজার সালাহ আল দীন স্ট্রিট, যেটি উপত্যকার উত্তরাংশের সঙ্গে দক্ষিণাংশের প্রধান সংযোগ সড়ক।

গাজা উপত্যকার প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, যে এলাকায় যুদ্ধ চলছে, সেখান থেকে গাজার মূল শহর মাত্র ৩ কিলোমিটার দূরে।

গাজার একজন বাসিন্দা এএফপিকে বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি বাহিনী) সালাহ আল দ্বীন স্ট্রিট দখল করেছে এবং ওই সড়ক দিয়ে যে যানবাহন যাচ্ছে, সেটিকে লক্ষ্য করে গুলি চলাচ্ছে।’

৩৬৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের গাজা উপত্যকায় বসবাস করেন প্রায় ২৩ লাখ ফিলিস্তিনি। তাদের মধ্যে অন্তত ১১ লাখ, অর্থাৎ প্রায় অর্ধেক বাস করেন উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে।

গত সপ্তাহ থেকে কয়েক বার উপত্যকার উত্তরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই নির্দেশ মেনে কয়েক লাখ ফিলিস্তিনি গাজার দক্ষিণাংশে সরেও গেছেন। তবে এখনও উত্তরাঞ্চলে রয়ে গেছেন লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি; আর ফিলিস্তিনি বাহিনী শনিবার থেকে তাদের স্থল অভিযান ‍শুরু করেছে গাজার উত্তরাঞ্চল দিয়েই।

গত ৭ অক্টোবর ভোররাতে ইসরায়েল ও গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালায় গাজার নিয়ন্ত্রণকারী রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাস। সীমান্তের  বেড়া বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করেন শত শত প্রশিক্ষিত হামাস যোদ্ধা।

ইসরায়েলে ঢুকে প্রথমেই কয়েক শ বেসামরিক লোকজনকে নির্বিচারে হত্যা করেন তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ২১২ জন ইসরায়েলি ও অন্যান্য দেশের নাগরিককে জিম্মি হিসেবে ধরে যায় হামাস যোদ্ধারা।

এ ঘটনায় সেদিন থেকেই গাজা উপত্যকায় বিমান অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। সেই সঙ্গে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয় গাজার বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের বিমান বাহিনীর অভিযানে ৭ অক্টোবরের পর এ পর্যন্ত উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এবং এই নিহতদের ৪০ শতাংশ শিশু এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক।

সূত্র: আল জাজিরা

এনএ/