গাজাবাসীর জন্য আমেরিকান মুসলিম নারীদের দোয়া ও সংহতি
প্রকাশ:
২৪ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:৪৩ দুপুর
নিউজ ডেস্ক |
![]()
ফিলিস্তিনের পক্ষে সংহতি জানাতে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেটন আইসল্যান্ডে মুসলিম নারীদের উদ্যোগে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠিত হয়েছে। ডংগান হিলস সেন্টারে অনুষ্ঠিত মুসলিম আমেরিকান সোসাইটি আয়োজিত ‘প্যালেস্টাইন স্পিকস’ শীর্ষক এই সভায় বিভিন্ন রাজ্যের ৮০ জন নারী ও তরুণী অংশ নেন। এতে ফিলিস্তিনের নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান উইদিন আওয়ার লাইফটাইম (ডাব্লিউওএল) ইউনাইটেড ফর প্যালেস্টাইনের সহপ্রতিষ্ঠাতা নারদিন কিসওয়ানি। তিনি বলেন, ‘একজন ফিলিস্তিনি নারী হিসেবে আমার মানুষ এবং যেকোনো স্থানের নিপীড়িত মানুষের স্বাধীনতার পক্ষে সাহায্য করা আমার দায়িত্ব। আমি নারীদের সহযোগিতা করতে চাই, যেন তাঁরা গাজায় চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং এর বিরুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অবস্থান নেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের আয়োজনগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসবের মাধ্যমে আমরা জানতে পারি কীভাবে আলোচনা করব এবং অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলব। একজন মুসলিম হিসেবে যথাসাধ্য অবিচারের বিরুদ্ধে কথা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের নবীজি (সা.) বলেছেন, তুমি অন্যায় দেখলে তা হাত দিয়ে পরিবর্তন কোরো। এর অর্থ তা প্রতিরোধে কোনো উদ্যোগ নাও। তা না পারলে তুমি অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলো। আর আজকের আয়োজনে আমরা জানব, কীভাবে নিরাপদে প্রতিবাদ করা যায় এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরাপদে কথা বলা যায়। একজন মুসলিম নারী হিসেবে আমাদের সমাজে প্রচলিত ফিলিস্তিন-বিরোধী বর্ণবাদ ও ঘৃণামূলক অপরাধেল বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। ’ এমনকি হাসপাতালে বোমা ফেলে শিশুদের মারা হচ্ছে। চলমান যুদ্ধের কারণে ফিলিস্তিনি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শোক, হতাশা ও অসহায়ত্ব বিরাজ করছে।’ উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে নজিরবিহীন সংঘর্ষ চলছে। এতে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ মারা গেছে। এর মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিশু। অন্যদিকে ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এখন পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। তা ছাড়া গাজা উপত্যকায় সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৩১টি মসজিদ পুরোপুরি ধ্বংস হয়েছে। এনএ/ সূত্র : এসআই লাইভ ডটকম
|