ইসরাইলের সমালোচনায় আরব নেতারা
প্রকাশ: ২৩ অক্টোবর, ২০২৩, ০৪:০৮ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

মিশর ও জর্ডান শনিবার এক শীর্ষ সম্মেলনে গাজায় ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করেছে। কয়েক দশক আগে ইসরাইলের সাথে শান্তি স্থাপনকারী দুই পশ্চিমা মিত্রদেশ হামাসের বিরুদ্ধে ইসরাইলের দুই সপ্তাহের যুদ্ধে ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে বলেই তা ইঙ্গিত করছে।

সম্মেলনের আয়োজক মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজার ২৩ লাখ ফিলিস্তিনিকে সিনাই উপদ্বীপে পাঠানোর যে কোনো আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ গাজায় ইসরাইলের অবরোধ ও বোমাবর্ষণকে “যুদ্ধাপরাধ” বলে অভিহিত করেছেন।

এই বক্তব্যগুলি এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান ক্ষোভকেই প্রতিফলিত করছে। ইসরাইলের সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে বা প্রায়শই মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছে তালিকায় এমন দেশগুলোও আছে। হামাসের ব্যাপক আক্রমণের পর যুদ্ধ এখন তৃতীয় সপ্তাহে পা দিয়েছে। হতাহতের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে কিন্তু যুদ্ধ শেষের কোন লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।

মিশর বিশেষ করে ফিলিস্তিনিদের ব্যাপক অনুপ্রবেশ নিয়ে উদ্বিগ্ন। এটি অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আশাকে দুর্বল করে দেবে বলে তারা আশঙ্কা করছে। কিছু ইসরাইলি রাজনীতিবিদ এবং সামরিক কর্মকর্তাদের গাজা ছেড়ে যাওয়ার বিষয়ে মন্তব্যও ইসরাইলের প্রতিবেশীদের উদ্বিগ্ন করেছে। ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের দক্ষিণে মিশরের দিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য ইসরাইল কিছুদিন আগেই নির্দেশ জারি করে।

আল-সিসি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে বলেন, মিশর "ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা এবং সিনাইতে মিশরীয় ভূমিতে তাদের স্থানান্তর" তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করছে।

জর্ডানের বাদশাহও একই বার্তা দিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত হওয়ার বিষয়টি “দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রত্যাখ্যান” করেছেন। পূর্ববর্তী মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের কারণে জর্ডানে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংখ্যক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি রয়েছে।

ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস গাজায় ইসরাইলকে "বর্বর আগ্রাসন" বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি তাদের ভূমি তারা ত্যাগ করবেন না বলে শীর্ষ সম্মেলনে বলেন।

অপরদিকে ইসরাইল বলছে, তারা গাজার হামাস শাসকদের ধ্বংস করতে বদ্ধপরিকর।

যুক্তরাষ্ট্র ১৯৯৭ সালে হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করে। ইসরাইল, মিশর, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাপানও হামাসকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে।

সুত্র: ভয়েস অফ আমেরিকা

এনএ/