এবার ইসরায়েলকে মিসরের প্রেসিডেন্টের হুঁশিয়ারি
প্রকাশ: ১৯ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৩১ দুপুর
নিউজ ডেস্ক

এবার ইসরাইল-ফিলিস্তিন ইস্যুতে মুখ খুলেছেন মিসরের প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। চলমান যুদ্ধের পরিস্থিতিতে ইসরাইলের ওপর বেশ ক্ষেপেছেন তিনি।

স্থল হামলার ঘোষণারপর ফিলিস্তিনিদের গাজার দক্ষিণে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলিরা। গাজার দক্ষিণেই মিসরের সীমান্ত। ফলে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের মিসরের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন বলে দাবি করছেন সিসি।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) ইসরাইলের উদ্দেশে এক হুঁশিয়ারিতে তিনি বলেন, ‘গাজায় এখন যা ঘটছে তা হলো বেসামরিকদের মিসরে চলে যাওয়ার জন্য বাধ্য করার চেষ্টা করা। যা মেনে নেওয়া উচিত নয়।’

ইসরাইলের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে তিনি আরও বলেন, ‘মিসরকে অনুরোধ না করে বরং ফিলিস্তিনিদের নিজেদের নেগেভ মরুভূমিতে রাখতে পারে ইসরাইলিরা। বুধবার কায়রোতে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজরের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।

চলমান সংঘাত নিয়ে কথা বলার সময় তিনি বলেন, ‘ইসরাইলের নেগেভ মরুভূমি আছে। ফিলিস্তিনিদের নেগেভ মরুভূমিতে স্থানান্তরিত করা যেতে পারে যতক্ষণ না তারা (ইসরাইল) গাজা উপত্যকার সামরিকদের সঙ্গে যা করতে চায় তা শেষ না হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের মিসরে স্থানান্তর করলে ইসরাইল যে সামরিক অভিযান শুরু করেছে তা বছরের পর বছর ধরে চলতে পারে। পরবর্তীতে এ পরিণতি মিসরকে বহন করতে হবে। সিনাই তখন ইসরাইলের বিরুদ্ধে অভিযানের একটি ঘাঁটি হবে এবং মিসরকে পরবর্তীতে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসাবে চিহ্নিত করা হবে। ইসরাইলের খাদ্য, পানি, বিদ্যুৎ অচল করার অর্থ ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক সিনাই উপদ্বীপে স্থানান্তর করার একটি উপায়, যা আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করি।’

উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে মিসরের সিনাই উপদ্বীপটি ইসরাইল বাহিনী দখল করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে শান্তি চুক্তির মাধ্যমে স্থানটি মিসরকে আবার ফেরত দেওয়া হয়।

সূত্র : আলজাজিরা।

এনএ/