কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারায় আনার কথা অযৌক্তিক: অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী
প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর, ২০২৩, ১০:৪৪ রাত
নিউজ ডেস্ক

‘কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারার শিক্ষায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে’ বলে দেওয়া শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদ। 

রবিবার (১৫ অক্টোবর) গণমাধ্যমে কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের মহাসচিব মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদীর পাঠানো প্রতিবাদ লিপিতে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী পীর সাহেব দেওনা এসব কথা বলেন। 

প্রতিবাদলিপিতে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান চৌধুরী বলেন, গত বৃহস্পতিবার জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) আয়োজিত জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১ এর আলোকে প্রণীত নতুন জাতীয় শিক্ষাক্রম মতবিনিময় সভায় শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য সম্পূর্ণ অযৌক্তিক। শিক্ষমন্ত্রী বলেছেন, ‘একটা রূপান্তর সময়সাপেক্ষ বিষয়, তাই ইতোমধ্যে চালু হওয়া নতুন শিক্ষাক্রমে কওমি মাদ্রাসাকে মূলধারায় আনতে পারছি না, তবে ভবিষ্যতে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।’

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্য আইনবিরোধী। কারণ, ‘আল হাইয়াতুল উলইয়া লিলজামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’-এর অধীন ‘কওমি মাদ্রাসাসমূহের দাওরায়ে হাদিস (তাকমিল)-এর সনদকে মাস্টার্স ডিগ্রি (ইসলামিক স্টাডিজ ও আরবি)-এর সমমান প্রদান আইন, ২০১৮’(২০১৮ সনের ৪৮ নং আইন) স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলো স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য ও স্বকীয়তা বজায় রেখে দারুল উলূম দেওবন্দের মূলনীতিসমূহকে ভিত্তি ধরে পরিচালিত হবে। মাদ্রাসা পরিচালনা ইত্যাদিতে প্রভাবমুক্ত থেকে স্বকীয় বৈশিষ্ট্য বজায় রাখবে।’ 

সংসদের পাশ হওয়া সিদ্ধান্ত ও আইন নিয়ে একজন মন্ত্রীর মুখে এমন বক্তব্য হতাশাজনক ।

পীর সাহেব দেওনা আরো বলেন, বাংলাদেশ ৯২% মুসলমানের দেশ। দ্বীনি শিক্ষা আমাদের ধর্মীয় অধিকার। ধর্মীয় শিক্ষায় কোন ধরনের হস্তক্ষেপ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মেনে নিবে না।

বিবৃতিতে তিনি ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদও জানান।

এনএ/