ডেঙ্গুর ভুল রিপোর্টে জটিলতা বাড়ছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ০৮:২০ রাত
নিউজ ডেস্ক

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত হলেও পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ রিপোর্ট আসার বিষয়ে প্রায়ই রোগীদের অভিযোগ রয়েছে। এই অবস্থায় ভুল রিপোর্ট পেয়ে রোগী বাসায় থাকছে, এতে শারীরিক জটিলতা বাড়ছে। 

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) নিজ ফেসবুকে প্রোফাইলে দেওয়া এক পোস্টে এ কথা বলেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সঠিক সময়ে ডেঙ্গু পরীক্ষা না করায় বাড়ছে ডেঙ্গুর নেগেটিভ রেজাল্টের সংখ্যা। একইসঙ্গে ভুল রিপোর্ট পেয়ে রোগী বাসায় থাকায়, বাড়ছে শারীরিক জটিলতাও। এই পরিস্থিতিতে জটিলতা এড়াতে জ্বর হওয়ার ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই ডেঙ্গু পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

এদিকে টানা কয়েকমাসের ধারাবাহিকতায় ডেঙ্গুর সংক্রমণ ও মৃত্যুর ধারা অব্যাহত আছে। এর মধ্যে শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) চলতি বছরের সর্বোচ্চ ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ জনই রাজধানী ঢাকার বাসিন্দা।

আরও পড়ুন: ডেঙ্গু: ভয়ংকর আগস্ট শেষে উদ্বেগ সেপ্টেম্বর নিয়েও

এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের সংক্রমণ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, চলতি বছরের প্রথম ৮ মাসে এডিস মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে গড়ে ৭৫ জন মারা গেছেন। আর মোট মৃত্যুর শতকরা ৯০ ভাগই হাসপাতালে ভর্তির তিন দিনের মধ্যে (৭২ ঘণ্টা) মারা গেছেন।

এর কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জ্বর হলে তো ৪ থেকে ৫ দিন পর রোগীর অবস্থা খারাপ হওয়ার কথা। তাহলে তিন দিনের মাথায় মৃত্যুর মানে- তার এই রোগের শুরু আরও আগে। প্রথমে সে চিকিৎসকের কাছে যায়নি। যখন এসেছে, তার অবস্থা ইতিমধ্যেই খারাপ হয়ে গেছে।

একই বক্তব্য সেবা সংশ্লিষ্টদের। সর্বোচ্চসংখ্যক রোগী থাকা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক এবং মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. নিয়াতুজ্জামান জানান, ডেঙ্গুতে মৃত্যুবরণ করা রোগীরা হাসপাতালে অত্যন্ত জটিল অবস্থায় আসেন। অনেকে শক সিনড্রোমে ভোগে মাল্টিপল অর্গান বিকল অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। ফলে তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রেখে চিকিৎসা দিতে হয় এবং অনেকে মৃত্যুবরণ করেন।