ট্রলারে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, ১২ জেলে দগ্ধ
প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩, ১১:৩২ রাত
নিউজ ডেস্ক

কক্সবাজারের ফিসারিঘাট এলাকায় বাঁকখালী নদীতে মাছ ধরার একটি ট্রলারে গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১২ জেলে দগ্ধ হয়েছেন। অগ্নিদগ্ধ জেলেদের মধ্যে ১০ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর দুইজনকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর)সকাল সোয়া ১০টার দিকে নুনিয়াছটার ৬নং ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো ১০ হলেন আইয়ুব (৩১), দীল মোহাম্মদ (৩০), রফিক (২৫), মনির (২৬), শফিকুল (২৬), আরমান (২০), রহিম (৩৭), রহিমুল্লাহ (৩০), শাহিন (৩৫) এবং ওসমান (১৯)। কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি ২ জেলে হলেন আলী আকবর (৫০) ও দুলাল মাঝি (৪৭)।

দগ্ধরা মো সেলিমের মালিকানাধীন দুলাল মাঝির ফিশিং ট্রলারের জেলে। তারা কক্সবাজার শহরের কুতুবদিয়াপাড়া ও সমিতিপাড়ার বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় আহত নৌকার মাঝি দুলাল বলেন, সকালে রান্না করার সময় হঠাৎ গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয। বিস্ফোরণে আমিসহ নৌকার ১২ জন গুরুতর আহত হয়। আমাদের মধ্যে অনেকেরই অবস্থা খারাপ। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ।

কক্সবাজার জেলা ফিশিং বোট মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ জানান, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রলারটির মালিক পশ্চিম নতুন বাহারছরার সেলিম বহদ্দার। সকালে রান্না করার সময় আচমকা সিলিন্ডার বিষ্ফোরণ হয়। এতে ট্রলারটিতে আগুন ধরে সবাই দগ্ধ হন। পরে তাদের দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অবস্থার অবনতি হওয়ায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। দুইজনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) আশিকুর রহমান বলেন, গ্যাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে সকালে আসা দগ্ধ ১০ জনের শরীর ৭০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাঁদের অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক হওয়ায় ১০জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনের শরীরের ৩০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাঁদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি মো রফিকুল ইসলাম বলেন, শহরের ফিশারি ঘাটের সেলিস বহদ্দারের মালিকানাধীন ‘এফবি লাকি’ ট্রলারটিতে সকালে জেলেরা রান্নার সময় হঠাৎ সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ১২ জন জেলে দগ্ধ হন। ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। কিভাবে বিস্ফোরণ হলো সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

টিএ/