শিশু আছিয়ার জানাযায় শরিক হওয়ার জন্য বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর ইবনে শায়খুল হাদীস মাওলানা মামুনুল হক মাগুরার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে আরও আছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সারজিস আলম, হাসনাত আব্দুল্লাহসহ একটি প্রতিনিধি দল।
আওয়ার ইসলামকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মিডিয়া সমন্বয়ক হাসান জুনাইদ।
এর আগে নিজের ভেরিফাই ফেসবুক পোস্টে মাওলানা মামুনুল হক জানান, বর্বর ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের নির্মম শিকার মাগুরার শিশু আসিয়া অবশেষে অভিমান নিয়েই সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেছে না ফেরার দেশে । এই মুহূর্তে আমি তার স্বকাশে সিএমএইচের মর্গের পাশেই আপনজনদের সাথে আছি। সন্ধা ৭ টায় মাগুরার নোমানী মাঠে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। স্থানীয় আলেম-উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষদেরকে বাংলাদেশের সকল বিবেকবান মানুষের প্রাণপ্রিয় আসিয়ার শেষ বিদায়ে শামিল থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে, প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে অতিদ্রূত অপরাধী ধর্ষক-খুনিদের বিচারের ব্যবস্থা করা হবে । আসিয়ার মা বারবার মুর্ছা যাচ্ছে, আর ফিরে ফিরে শুধু বলছে, অপরাধীদের বিচার চাই। এই বেদনাহত মায়ের সূরে আমরাও কোটি কণ্ঠে বলতে চাই, অতিদ্রূত বিচার কার্যকর দেখতে চাই ।’
এদিকে মাগুরায় ধর্ষনের শিকার শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়েছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমীর আল্লামা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ । সংবাদমাধ্যমে এক বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় একইসাথে আছিয়ার খুনি ধর্ষক ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক প্রকাশ্য বিচারও দাবি করেছেন।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিগত কয়েক দিন থেকে পাশবিক যৌন নির্যাতনের শিকার শিশু আছিয়া অবর্ণনীয় যাতনা নিয়ে মহাকালের পথে চলে গেছেন। তার মৃত্যুতে আমরা গভীর ভাবে শোকাহত। আমরা মহান আল্লাহর কাছে শিশু আছিয়ার শাহাদাতের মর্যাদা কামনা করছি এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের জন্য উত্তম ধৈর্যের তাওফিক কামনা করছি ।
বর্তমান সরকারের কাছে আছিয়ার খুনি ধর্ষকদের সর্বোচ্চ প্রকাশ্য শাস্তি দাবি করে তারা আরোও বলেন, প্রচলিত নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ আইন সংশোধন করে বিচারপ্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন করুন। এমন পাশবিক অপরাধ করার দু:সাহস আর যেন কেউ না দেখায় সেজন্য, ধর্ষণের শাস্তি জনসম্মুখে প্রকাশ্যে বাস্তবায়ন করুন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, আট বছরের শিশুকন্যা আছিয়ার নৃশংস ধর্ষণের ঘটনা জাহেলিয়াত যুগের বর্বরতাকেও হার মানিয়েছে। এধরণের ধর্ষণকারীকে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে শাস্তির বিধানের কোন বিকল্প নেই।
নেতৃদ্বয় বলেন,পবিত্র কুরআনে উদ্ধৃত হয়েছে ‘তাদের শাস্তি দিতে যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয় এবং মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে।’(সুরা নুর, আয়াত : ২)
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় সরকারের কাছে আছিয়ার মা-বোনসহ পরিবারের সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য অনতিবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার আহবান জানান।
হাআমা/