বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৯ কার্তিক ১৪৩১ ।। ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুলাই গণহত্যার ১০০তম দিন: টিএসসিতে শহীদ পরিবারের আর্তনাদ দ্বীনিয়াতের প্রধান মাওলানা সালমানের জন্য দোয়া চাইলো পরিবার রংপুরে জুম্মাপাড়া মাদরাসার ২ দিন ব্যাপী তাফসির মাহফিল আগামীকাল ন্যায়পরায়ণ-আল্লাহভীরু শাসক ছাড়া শান্তির আশা করা যায় না: চরমোনাই পীর সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের শরীআহ চেয়ারম্যান হলেন মাওলানা মাহফজুল হক সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ ও ‘বাঙালি জাতীয়তাবাদ’ বাতিল চাই: অ্যাটর্নি জেনারেল আসছেন না মাওলানা সাদ; আগের নিয়মেই চলবে কাকরাইল ও ইজতেমার মাঠ কাল বাদ ফজর বসুন্ধরা মারকাজে বয়ান করবেন মাওলানা ইলিয়াস গুম্মান বইমেলা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হচ্ছে রমজান সামনে রেখে প্রস্তুত হচ্ছে রিয়্যালিটি শো ‘পবিত্র কুরআনের আলো’

মিডিয়ায় অসত্য প্রচার নিন্দনীয় জঘন্য কাজ: বায়তুল মোকাররমের খতিব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| হাসান আল মাহমুদ ||

মিডিয়ায় অসত্য প্রচার নিন্দনীয় জঘন্য কাজ বলে উল্লেখ করেছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মাওলানা মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক (হাফিজাহুল্লাহু)।

তিনি বলেছেন, ‘আজকে আধুনিক সমাজে সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে অন্যায় কথা, অসত্য কথা, বিকৃত কথা, বিদ্বেষ ও সম্মানহানির কথা প্রচার করা হচ্ছে, তা শরীয়তের দৃষ্টিকোণে নিন্দনীয় জঘন্য কাজ।

তিনি বলেন, ‘আমি নিয়োগের পরে প্রথম জুমা পড়াইনি, তবুও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমার জুমার বয়ান নামে একটি আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে। প্রথম জুমার দিনও যে আলোচনা করেছি তার পরিবর্তে অন্য একটি আলোচনাকে প্রথম জুমার বয়ান নামে চালিয়ে দেওয়া হয়েছে। এগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার নামান্তর। ’

আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুমাপূর্ব বাংলা বয়ানে এসব বলেন খতিব।

মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুল মালেক বলেন, ‘অনেকে ভাবতে পারে আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে শরীয়তের কোন নীতিমালা নেই। অথচ সাড়ে ১৪০০ বছর আগে এ সকল বিধান কুরআন-সুন্নাহে দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাদের কর্তব্য হলো, যখন যে সমাজে যে অবস্থা ও পরিস্থিতি আসে, তার বিধান ও নীতিমালা কুরআন এবং সুন্নাহ থেকে জেনে নেওয়া।’

কোনো কথা পেলেই বা তথ্য জানলেই তা অন্যদেরকে জানিয়ে দেওয়া বা শেয়ার করা মুমিনের আলামত নয় বলে উল্লেখ করে খতিব বলেন, ‘যে কোনো কথা পেলেই বা তথ্য জানলেই তা অন্যদেরকে জানিয়ে দেওয়া বা শেয়ার করা মুমিনের আলামত নয়, এটি মিথ্যাবাদী হওয়া, গুনাহগার হওয়ার জন্য যথেষ্ট। হাদিসে এই বিষয়ে কঠিন নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

বরং এক্ষেত্রে মূলনীতি হল:

১- তথ্যসূত্র যাচাই করা।

২- তথ্যের বিষয়বস্তুর সত্যতা ও বিশুদ্ধতা যাচাই করা।

৩- সঠিক ও বিশুদ্ধ হলেও তথ্যটি সাধারণ জনগণের জন্য উপকারী কিনা তা বুঝা।

৪- যদি কোন বিশেষ আমানতের তথ্য থাকে, তবে তাকে ছাড়া অন্য কাউকে না জানানো।

তিনি বলেন, ‘যদি সত্যিকার অর্থেই কোন বিষয় সকলের জন্য উপকারী হয় তাহলে তা শেয়ার করা অন্যথায় চুপ থাকা। হাদিসে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ঈমান এনেছে এবং কিয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাস রাখে সে যেন তম কথা বলে, অথবা চুপ থাকে। কারণ চুপ থাকলে তার সওয়াব না হলেও গুনাহ হবে না। এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষ্যণীয়, যার যে বিষয়ে জ্ঞান নেই, পাণ্ডিত্য নেই, বিশেষজ্ঞতা নেই, সে যেন সেই বিষয়ে কোন কথা না বলে না লিখে।’

খতিব আরও বলেন, ‘আরেকটি হাদিসে এই বিষয়ে গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে বলা হয়েছে, ‘মুসলিম হলো ওই ব্যক্তি যার জিহবা ও হাত থেকে মুসলমানগন নিরাপদ থাকে’। এই জিব্বা আকৃতিতে ছোট কিন্তু তার অপরাধ অনেক বড়। আজকের আধুনিক যুগে গণমাধ্যম ও যোগাযোগ মাধ্যমে এই জিহবা ও হাত দ্বারা অনেক রকম অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে। মোবাইলে টাচ করা হোক, কম্পিউটারে কিবোর্ডে লেখা হোক, বা মুখেও মাইকে আলোচনা করা হোক সকল ক্ষেত্রেই আমাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে।’

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ