রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩১ ।। ৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


বাংলাদেশ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের দাবি প্রকট হচ্ছে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশ রক্ষায় বাঁধ নির্মাণের দাবি প্রকট হচ্ছে

|| হাসান আল মাহমুদ ||

সম্প্রতি ভারতের উজানের পানি ও ভারী বৃষ্টির কারণে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলা ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, কুমিল্লাসহ বেশ কয়েকটি জেলায়। প্রবল বন্যায় সহায়-সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় হাজার হাজার পরিবার। এখনো আটকা পড়ে আছেন অগণিত অসহায় মানুষ। ভারতের ডম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে আকস্মিক বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে ঢাবি, জাবি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশও অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে স্যোশাল পাড়ায় ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে। পাশাপাশি ভারতের বাঁধের বিপরীতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নদীগুলোতেও বাঁধ তৈরীর উদ্যোগ নেয়ার দাবি প্রকট হচ্ছে স্যোশাল মিডিয়ায়।

ক্যালিগ্রাফি শিল্পী আরিফুর রহমান লিখেন, ‘মেট্রোরেল-কর্ণফুলি টানেলের চেয়ে ফারাক্কার মতো আমাদের একটা বাঁধ জরুরি ছিল’।

কবি বোরহান মাহমুদ লিখেন,‘আমার জানামতে পাকিস্তান আমলে বিকল্প ফারাক্কা বাঁধ নির্মাণে কাজ শুরু হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর সে প্রকল্প বন্ধ হয়ে যায়। সময় এসেছে সব বাঁধের বিপরীতে বিকল্প বাধ নির্মানের কাজে হাত দেয়ার।’

মাদরাসা শিক্ষক আমির আহমাদ লিখেন, বাংলাদেশকে রক্ষা করতে নতুন বাঁধ তৈরির বিকল্প নেই। প্রয়োজনে জনগণ গণচাঁদা দিবে,তবুও নতুন বাঁধ চাই!আওয়াজ উঠুক!’

মুহা. জাফর উল্লাহ শারাফত নামে একজন লিখেন, বাঁধের বিপরীতে বাঁধ বানাতে কত টাকা লাগে? জনগণ টাকা দেবে, দরকার হলে জনগণ বিনা পয়সায় বাঁধের কাজ করবে, তবুও এই ট্র্যাজেডি আর দেখতে চাই ন ‘।

খাইরুল ইসলাম লিখেন, ‘মেট্রোরেল-কর্ণফুলি টানেলের চেয়ে ফারাক্কার মতো আমাদের একটা বাঁধ বেশি জরুরি ছিল’।

কাজী ছাইফুজ্জামান লিখেন, ‘ফারাক্কা বাঁধসহ সকল বাঁধের বিপরীতে যদি আমাদের সীমানায় আরো নিরাপত্তা বাঁধ নির্মাণ করা যায় তাহল কেমন হয়

ভিডিও প্রশিক্ষক আল-আমিন মোহাম্মদ লিখেন, তিস্তা ব্যারেজের বাংলাদেশ অংশে বাঁধ দেয়া অতি জরুরি হয়ে পড়েছে। এজন্য যদি চায়নার সাহায্য নেয়া লাগে দ্রুত নীতিনির্ধারণী ব্যক্তিরা বসে সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের চাঁদা দেয়া লাগলে বলুন। আমাদের ১ দিনের খাবার বাঁচিয়ে, সারা দুনিয়া থেকে কালেশন করে হলেও বিপুল পরিমাণ অর্থের যোগান দেবে জনগণ।

বাঁধের সব পানি হুড়মুড় করে ছেড়ে দিয়ে দাদা বাবুদের আনন্দ দেখুন। তারা ন'গ্ন উল্লাস করছে। এ-দেখে বাঙালি জাতীর প্রত্যেকের শরীরের লোম দাঁড়িয়ে যাচ্ছে। প্লিজ উদ্যোগ নিন।

মুসাফির ইউসুফ নামে এক ফেসবুকার লিখেন, ‘১৮ কোটি নাগরিক থেকে ৫০ টাকা করে নেন, ৯০০ কোটি টাকা হয়, ভারতের বাঁধের বিপরীতে বাঁধ চাই’।

হাআমা/কেএল


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ