।।হাসান আল মাহমুদ।।
ইমাম। সমাজের আইডল। সমাজের নেতা। মানুষের ভালোবাসা। সমাজের সুখ-দুঃখের সাথী। একজন ইমামকে সাধারণ মানুষ কেমন ভালোবাসেন সেসব নিয়ে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজধানী ঢাকার ধানমন্ডি মসজিদুত তাকওয়ার ইমাম হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারূফ।
হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারূফ বলেন, একজন ইমাম হচ্ছেন এলাকার প্রতিনিধি ও নেতা। সম্মানিত ও মান্যবর। মানুষের সত্যিকার ভালোবাসার পাত্র। মানুষ ইমাম সাহেবকে মন থেকেই ভালোবাসেন কোনো রকমের স্বার্থ ছাড়া। আমি একজন হিসাবে তেমনই দেখে আসছি।
হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারূফ বলেন, ইমাম যেহেতু সমাজের প্রধিনিধত্ব করেন, তাই তিনি যে ধ্যান-ধারণা লালন করেন কিংবা ইমাম যে মাসলাকের হন, মতাদর্শের অধিকারী হন, ধীরে ধীরে দেখা যায় সে এলাকার মানুষও তাদের ভিতরে সেসব ধারন করা শুরু করে। ইমামকে তারা ফলো করে। এজন্য একজন ইমাম যদি সঠিক বিশুদ্ধ চিন্তার অধিকারী হন, তাহলে তাকে অনুসরণকারী মুসল্লিরাও বিশুদ্ধ চিন্তা পান। আর যদি একজন ইমাম বাতিল চিন্তার অধিকারী হন, তাহলে তাকে অনুসরণকারীরা গুমরাহ হয়। এজন্য সমাজ-জীবনে ইমামদের প্রভাব অনস্বীকার্য।
হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাফিজ মারূফ আরো বলেন, একজন ইমাম ওই এলাকার মানুুষের অন্তরকে নিয়ন্ত্রণ করেন। আত্মা উন্নয়ন করার চেষ্টা করেন। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, আত্মা উন্নয়ন করতে পারলে সমাজেরও উন্নয়ন ঘটবে। যদিও ইমামের সকল কথাকে বাস্তবায়ন করতে নাও পারেন, কিন্তু বিশ্বাসটাকে লালন করে- হ্যাঁ এটাতো করা করা উচিত ছিল। রাত-দিনের মেহনতের ফসলে সমাজের অনেকেরই আত্মোন্নয়ন হয়। এই আধ্যাত্মিক পরিবর্তন সমাজ-জীবনে একজন ইমামের প্রভাব অনস্বীকার্য।
এনএ/