হাসান আল মাহমুদ
ইমাম। সমাজের আইডল। সমাজের নেতা। মানুষের ভালোবাসা। সমাজের সুখ-দুঃখের সাথী। একজন ইমাম সমাজ জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে যাচ্ছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন। অপরাধ দমনেও ইমামরা কাজ করেন । সেসব নিয়ে আওয়ার ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছেন মিরপুর ফলফট্রি বায়তুল মা’মূর জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আজিজুর রহমান মাদানী।
মুফতি আজিজুর রহমান মাদানী বলেন, আমাদের সমাজের ইমামের জায়গাটায় ছিলেন দু-জাহানের বাদশাহ সৃষ্টিকূলের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট মহামানব হজরত মোহাম্মদ সা.। তিনি যত দিন জীবিত ছিলেন, ততোদিন তিনি আমানত হিসাবে পালন করে গেছেন। তিনি শুধু মসজিদের নয়, বরং গোটা সমাজ-রাষ্ট্র ব্যবস্থার ইমাম ছিলেন। ইমামের মর্যাদা হিসাবে রাসূল সা. এর যে অবস্থান ছিল, তাঁর প্রতিনিধি হিসাবে সমাজে একজন ইমামের মর্যাদাও কম নয়। কারণ, একজন ইমাম রাসূল সা. এর প্রতিনিধি। তাই তাঁর সম্মানও মানুষের কাছে অনেক বেশি।
মুফতি আজিজুর রহমান মাদানী বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনে আমাদের ইমামগণ আলহামদুলিল্লাহ নানা ভূমিকা ও প্রভাব রেখে যাচ্ছেন। ইমামগণ মানুষের অন্তর থেকে বাতিল আকিদা-চিন্তা দূর করে সঠিক বিশ্বাস-আকিদা প্রবেশ করিয়ে দিচ্ছেন। সমাজের মসজিদকে সঠিকভাবে পরিচালনা করে শৃঙ্খলাময় জীবনযাপনে অভ্যস্থ করে তোলেন। চুরি-ডাকতি, সুদ-ঘুষসহ নানা অপরাধ দমনে ইমামরা কাজ করেন। সমাজ উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। অনেক মানুষের সুখ-দুঃখের গল্প শোনে সে অনুযায়ি ইসলামিক ফর্মূলা দিচ্ছেন। দুখী মানুষের পাশে দাঁড়ান। প্রাকৃতিক দুর্যোগেও একজন ইমামকে দেখা যায় সবাইকে সাথে সহযোগিতায় এগিয়ে আসেন। সব মানুষের ভালোবাসায় তিনি হয়ে ওঠেন অনন্য।
হুআ/