শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ।। ৫ আশ্বিন ১৪৩১ ।। ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত 'ঢাবি ও জাবির হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে' ঢাবিতে যুবক হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৩ জন আটক কওমী মাদরাসার ছাত্রদেরকে বিসিএস এ অংশগ্রহণের সুযোগ না দেওয়া বৈষম্য: মুফতী ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই  সাগর-রুনি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকায় সাংবাদিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ কওমি সনদ বাস্তবায়ন সেমিনার থেকে ১৩ দফা প্রস্তাবনা ও ২ দফা কর্মসূচি ঘোষণা স্বকীয়তা বজায় রেখে কওমি সনদের স্বীকৃতি বাস্তবায়ন চান মুফতী ফয়জুল করীম কওমি শিক্ষার্থীদের প্রতি সকল বৈষম্যের অবসান হোক: সেমিনারে বক্তারা ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেয়ার প্রস্তুতি সম্পন্ন’ হবিগঞ্জে মহানবী সা.কে কটূক্তিকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

ইমামকে স্বাধীনভাবে দায়িত্ব পালন করতে দিন : পেশ ইমাম, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ঢাকা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : আওয়ার ইসলাম

।।হাসান আল মাহমুদ।।

ইমাম। সমাজের আইডল। সমাজের নেতা। মানুষের ভালোবাসা। সমাজের সুখ-দুঃখের সাথী। একজন ইমাম সমাজ জীবনে কী ধরনের প্রভাব ফেলে যাচ্ছেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে কী ভূমিকা রেখে যাচ্ছেন সেসব নিয়ে আওয়ার ইসলামকে তথ্য জানিয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম 

 

মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম বলেন, সমাজে ইমামদের দায়িত্ব। ভূমিকা অনেক বেশি। এর কারণ হলো রাসূল সা. বলেছেন- ‘কিয়ামতের ময়দানে প্রত্যেক ব্যক্তিকে তার অীধনস্ত সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হবে।’ তো, অধিনস্ত বিভিন্নভাবে হয়ে থাকে। বাবার অধীনে ছেলে, সেও একজন অধিনস্ত। এরকমভাবে কর্মচারীসহ নানা ভাবেই হয়ে থাকে অধিনস্ত। বিশেষ করে যারা ইমাম রয়েছেন, তাদের অধিনস্থ সমাজের প্রত্যেকটা মানুষ। তাই, তাদেরকে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়ে সমাজের যতো অন্যায়-অবিচার, পাপাচার আছে, সবগুলোকে সুন্দরভাবে মানুষের কাছে তুলে ধরে দিকনির্দেশনা দেওয়া একজন ইমামের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। এতে কোনো ব্যক্তির কষ্ট পাওয়া উচিত নয়।

মুফতি মুহিউদ্দিন কাশেম আরও বলেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায়, আমাদের সমাজে ইমামগণ সে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে রোষানলের স্বীকার হচ্ছেন। অনেকের ইমামতিও ইস্তফা দিতে হয়। এটা খুবই দুঃখজনক। সমাজের উচিত ইমামের মূল্যায়ন করা। একজন ইমামকে যদি সঠিক ও বিশুদ্ধ ত্বরিকায় নববী কাজ করতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়, তাহলে এর সুফল শুধু সমাজই নয়, বরং গোটা দেশ ভোগ করে।

এজন্য বাস্তবজীবনে দেখা যায়, যে মহল্লায় ইমামকে স্বাধীনভাবে তার দায়িত্ব পালন করতে দেয়া হয়, আর ইমামও সঠিক আক্বিদায় নববী পদ্ধতিতে কাজ করেন, সে মহল্লা অন্যায়, নাচগান, শিরিক-বিদাত মুক্ত থাকে। আর যে মহল্লার ইমামকে চুপ করে থাকতে দেয়া হয়, সে মহল্লা অন্যায়, সুদ-ঘুষ, শিরিক-বিদআতের আখরা বনে যায়। 

হুআ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ